চিঠি যখন পৌঁছাল, তখন সব শেষ...

চিঠিটা যদি সময়মত পৌঁছাত, তাহলে হয়তো অন্যরকম কিছু ঘটতে পারত। অন্যরকমভাবে লেখা হত গল্পটা। একটা অসহায় মেয়ের জীবনটা হয়তো বেঁচে যেত। কিন্তু, বাস্তব বড় নির্মম, নিষ্ঠুর। তাই অসহায় একজন মানুষের আর্তি সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় পৌঁছাতে পারে না। আর দেরিতে পৌঁছানোর পরিণতি হয় অত্যন্ত করুণ। তেলেঙ্গানার এক তরুণী একটি চিঠি লিখেছিলেন। তিনি চিঠি লিখেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে সি আর ও রাজ্যের পুলিস প্রধানের উদ্দেশে। চিঠি যাতে তাড়াতাড়ি পৌঁছায়, সেই কারণে সাধারণ পোস্টে না পাঠিয়ে চিঠিটি স্পিড পোস্ট করেন ওই তরুণী। কিন্তু, চিঠি যতক্ষণে মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিস প্রধান হাতে পেলেন....

Updated By: May 31, 2016, 01:51 PM IST
চিঠি যখন পৌঁছাল, তখন সব শেষ...

ওয়েব ডেস্ক : চিঠিটা যদি সময়মত পৌঁছাত, তাহলে হয়তো অন্যরকম কিছু ঘটতে পারত। অন্যরকমভাবে লেখা হত গল্পটা। একটা অসহায় মেয়ের জীবনটা হয়তো বেঁচে যেত। কিন্তু, বাস্তব বড় নির্মম, নিষ্ঠুর। তাই অসহায় একজন মানুষের আর্তি সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় পৌঁছাতে পারে না। আর দেরিতে পৌঁছানোর পরিণতি হয় অত্যন্ত করুণ। তেলেঙ্গানার এক তরুণী একটি চিঠি লিখেছিলেন। তিনি চিঠি লিখেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে সি আর ও রাজ্যের পুলিস প্রধানের উদ্দেশে। চিঠি যাতে তাড়াতাড়ি পৌঁছায়, সেই কারণে সাধারণ পোস্টে না পাঠিয়ে চিঠিটি স্পিড পোস্ট করেন ওই তরুণী। কিন্তু, চিঠি যতক্ষণে মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিস প্রধান হাতে পেলেন....

ততক্ষণে সব শেষ। ঝাঁসি রানি, ২১ বছরের বিটেক স্টুডেন্ট। চিঠি লিখে রাজ্যের প্রশাসনিক সর্বোচ্চ কর্তাদের জানাতে চেয়েছিলেন কীভাবে তাঁর মা ও স্বামী তাঁকে দেহব্যবসায় নামানোর জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। কীভাবে তাঁর উপর অকথ্য অত্যাচার চলছে। এসবই চিঠি লিখে জানাতে চেয়েছিলেন ঝাঁসি। লিখেওছিলেন চিঠিটা। কিন্তু, সঠিক সময়ে সেটা সঠিক লোকের হাতে না পাৌঁছানোয় লড়াইতে শেষপর্যন্ত ইতি টানতে হয় ঝাঁসিকে। নিজের পরিবারের সঙ্গে অসম লড়াই লড়তে লড়তে নিয়ে নিতে হয় চরম সিদ্ধান্তটা।

হায়দরাবাদ থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরত্বে নাক্রেকালে থাকতেন ঝাঁসি। চিঠি পেয়ে সেখানে গিয়ে পুলিস দেখে বাড়ির দরজা বন্ধ। জানা যায়, ঝাঁসি আত্মহত্যা করেছেন। প্রাথমিকভাবে অনুমান, বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন ঝাঁসি। এদিকে, ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত ঝাঁসির মা ও স্বামী।

অভিযোগ, ২ বছর আগে টাকার বিনিময়ে জোর করে মেয়ের বিয়ে দেয় মা। বিয়ের পর থেকেই শুরু হয় অশান্তি। কোনওভাবেই স্বামীর সঙ্গে থাকতে রাজি ছিলেন না ঝাঁসি। এরপর ২৩ মে, তাঁর বিটেকের পরীক্ষা শেষ হয়। ২৫ মে ঝাঁসির মৃত্যু হয়। পাড়াপড়শিরা কিছু জানার আগেই মেয়ের দেহের সত্কার করে দেয় মা।

.