সিআরপিএফ কনভয়ে ধাক্কার পরই বানিহালে গাড়িতে বিস্ফোরণ

বিস্ফোরণ কীভাবে হল, সেই প্রশ্নেরও উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।

Updated By: Mar 30, 2019, 02:04 PM IST
সিআরপিএফ কনভয়ে ধাক্কার পরই বানিহালে গাড়িতে বিস্ফোরণ

নিজস্ব প্রতিবেদন: পুলওয়ামার পুনরাবৃত্তি হল কি বানিহালে! শনিবারের গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ ঘিরে ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। সেনা ও পুলিস এখনই এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। তবে তাদের হাতে যে সব তথ্য এসেছে, তাতে পুলওয়ামার কায়দায় জঙ্গি হামলার আশঙ্কা বাড়তে শুরু করেছে।

এদিন বেলা ১২টা নাগাদ বানিহালের বিস্ফোরণের বিষয়টি সামনে আসে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল, জম্মু-কাশ্মীরের জওহর টানেলের কাছে জাতীয় সড়কের উপর একটি গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। ঘটনার সময় সেখান থেকে কিছুটা দূরেই ছিল সিআরপিএফের কনভয়।

কিন্তু সময় যত এগোতে থাকে, ততই সামনে আসতে শুরু করেছে নতুন তথ্য। সেনার একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, যে গাড়িটিতে বিস্ফোরণ হয়, তার পাশ দিয়েই বেরিয়েছে সিআরপিএফ কনভয়। কনভয়ের একটি গাড়িতে ওই গাড়িটি ধাক্কাও মারে।

আরও পড়ুন: কাশ্মীরে সেনা কনভয়ের কাছে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ

তার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিস্ফোরণ হয়। ঘটনায় ওই গাড়িটি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিআরপিএফের গাড়িটিও। তবে জওয়ানরা সকলেই সুরক্ষিত রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

এদিকে বিস্ফোরণে গাড়িটি ভস্মীভূত হলেও চালকের খোঁজ নেই। ফলে চালক সেখান থেকে কীভাবে পালিয়ে গেল, সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাহলে কি বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গেই চালক পালিয়েছে, এই প্রশ্নের উত্তরের খোঁজে চালকের সন্ধান শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন: সেনার খাবারের মান নিয়ে তোলপাড় ফেলে খবরে, এবার মোদীর বিরুদ্ধেই প্রার্থী প্রাক্তন জওয়ান তেজবাহাদুর

এদিকে বিস্ফোরণ কীভাবে হল, সেই প্রশ্নেরও উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা। কারণ, প্রথমে মনে করা হচ্ছিল সিলিন্ডার ফেটে বিস্ফোরণ হয়েছে। এখন বিষয়টি খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে। সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নাকি অন্য কোনও বিস্ফোরক ছিল গাড়িতে, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণ রেখায় পাক তত্পরতা দেখেই পাঞ্জাব-রাজস্থান সীমান্তে সেনা-ট্যাঙ্ক পাঠাচ্ছে ভারত

সেই সূত্রেই তদন্তকারীরা দেখছেন, এই ঘটনা পুলওয়ামার হামলার পুনরাবৃত্তি কি না। কারণ, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা হয়। আত্মঘাতী গাড়ি বোমা হামলা হয় সিআরপিএফ কনভয়ে। সেই হামলায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হন।

.