১৫ মিনিটের অপারেশন! কীভাবে পাখির পালকের মতো চাঁদের পৃষ্ঠে নামবে চন্দ্রযান ২, জানালেন জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা
উল্লেখ্য, এই অবতরণ সফল হলে আমেরিকা, সোভিয়েত ইউনিয়ন, চিনের পর বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসাবে ভারত এই কৃতিত্ব অর্জন করবে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আর কিছুক্ষণের অপেক্ষা। ইতিহাসের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ইসরো। শুক্রবার গভীর রাতে বলা ভালো শনিবার চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করতে চলেছে চন্দ্রযান ২। চাঁদের দক্ষিণ মেরুর দুই গহ্বরের মাঝেই অবতরণ করার কথা বিক্রম ল্যান্ডারের। উল্লেখ্য, এই অবতরণ সফল হলে আমেরিকা, সোভিয়েত ইউনিয়ন, চিনের পর বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসাবে ভারত এই কৃতিত্ব অর্জন করবে।
এবিষয়ে জ্যোর্তিবিজ্ঞানীদের মতে, “সারা দেশ একটি চরম মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে, অবতরণকালীন সময় জ্যোর্তিবিজ্ঞানীদের কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ইসরোর চেয়ারম্যান বলেছেন, যে সময় থেকে শুরু করে যে কক্ষপথ এখন ঘুরে চলেছে বিক্রম, তার থেকে তাকে আস্তে আস্তে নামিয়ে আনা হবে চাঁদের বুকে। এই ১৫টা মিনিট আতঙ্কের মিনিট। তার কারণ প্রতিটি মুহূর্তে, প্রতিটি সেকেন্ডে যে সঙ্কেত পাঠানো হবে ইসরো থেকে, সেগুলি চন্দ্রযান ২, বিক্রমকে পুঙ্খানুপুঙ্খ মেনে কাজ করতে হবে।”
আকাশপথকে দুর্ভেদ্য করতে ৫ হাজার কোটির আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ক্রয়ের অনুমোদন কেন্দ্রের
তাঁদের মতে, “এই মুহূর্তে বিক্রম একটি উপবৃত্তাকার কক্ষপথে ঘুরে চলেছে চাঁদকে। ৩৫ কিলোমিটার গুণিতক ১০১ কিলোমিটার। এখন তার গতিবেগ হচ্ছে প্রায় ৬১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। এটি অত্যন্ত তীব্র গতিবেগ। সেখান থেকে তার গতিবেগ কমিয়ে নিয়ে আসা হবে চাঁদের পৃষ্ঠদেশে। চাঁদের থেকে ৪০০ মিটার উচ্চতায় সে যখন আসবে (যে অঞ্চলে তার নামার কথা রয়েছে) তার গতি কমতে শুরু করবে।ছবি তুলে পাঠানো হবে ইসরোর বিজ্ঞানীদের কাছে। বিজ্ঞানীরা তখন বিবেচনা করে দেখবেন, যেখানে নামছে, সেখানে নামাটা সফল হবে কিনা।তারপর ১০০ মিটার উচ্চতায় যখন আসবে, তখন বিক্রমের ওপরে থাকা পাঁচটি ইঞ্জিন একসঙ্গে ফায়ারিং হবে। তবে এই ফায়ারিং গতিবেগ বাড়ানোর জন্য নয়। উল্টোদিকে ফায়ারিং হবে, গতিবেগ কমানোর জন্য। এর ফলে পাখির পালকের মতো ধীরে ধীরে চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করবে চন্দ্রযান ২। অবতরণের পরই সেনসর কাজ করবে, এরফলে পাঁচটা ইঞ্জিনই বন্ধ হয়ে যাবে।”
“শুধুমাত্র চিন্তা একটাই...” জেল হেফাজত নিয়ে কী বললেন পি চিদাম্বরম
তবে এক্ষেত্রে আরও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, চাঁদের পৃষ্ঠে যে মসৃণ ধূলিকণা রয়েছে, তা বিক্রমকে ক্ষতি করতে পারে। অবতরণের সময় খেয়াল রাখতে হবে, যাতে ধূলো খুব বেশি না ওড়ে। রাত দেড়টা থেকে রাত আড়াইটের মধ্যে এই অপারেশটি করা হবে বলে জানিয়েছেন জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা।