টাট্রা ট্রাক কেলেঙ্কারির জেরে সাসপেন্ড বিইএমএল প্রধান
টাট্রা ট্রাক কেলেঙ্কারির জেরে এবার সিবিআই জেরার মুখে পড়েছিলেন আগেই। এবার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা `ভারত আর্থ মুভার্স লিমিটেড` (বিইএমএল)-এর চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর ভি আর এস নটরাজনকে টাট্রা ট্রাক কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে সাসপেন্ড করল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক!
টাট্রা ট্রাক কেলেঙ্কারির জেরে এবার সিবিআই জেরার মুখে পড়েছিলেন আগেই। এবার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা `ভারত আর্থ মুভার্স লিমিটেড` (বিইএমএল)-এর চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর ভি আর এস নটরাজনকে টাট্রা ট্রাক কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে সাসপেন্ড করল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক!
চেক প্রজাতন্ত্রের সংস্থা টাট্রা নির্মীত ট্রাক-এর যন্ত্রাংশ আমদানি করে সেগুলি জোড়া লাগিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ট্রাক সরবরাহের বরাত রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিইএমএল-এর হাতে। সূত্রে খবর, সিবিআই-এর প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে টাট্রা-কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করার পাশাপাশি আরও বেশ কিছু অনিয়মের জন্য দায়ী করা হয়েছে নটরাজনকে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে সে কথা কার্যত মেনে নিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র সীতাংশু কর।
প্রসঙ্গত, মার্চ মাসে তত্কালীন সেনাপ্রধান ভি কে সিং একটি ইংরেজি দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে নাম না করে প্রাক্তন সেনাপ্রধান তেজেন্দ্র সিংয়ের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর জন্য টাট্রা সংস্থার কাছ থেকে ৬০০টি নিম্নমানের গাড়ি কেনার বিনিময়ে তাঁকে ১৪ কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ এনেছিলেন। এরপর সংশ্লিষ্ট সংস্থার তৈরি নিম্নমানের ট্রাকগুলি কেনা হয় বলেও জানিয়েছিলেন জেনরেল সিং।
মিডিয়ায় এই ঘটনা প্রচারিত হওয়ার পরই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি। সেনাবাহিনীতে টেট্রা ট্রাক কেনাবেচায় দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে চেক প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে সিবিআই। চেক প্রজাতন্ত্রের ট্রাক নির্মাতা কোম্পানি টেট্রা-র প্রধান অংশীদার, ভেকট্রা-র কর্ণধার রবি ঋষির বিরুদ্ধেও কয়েকটি আর্থিক অনিয়মের খোঁজ পায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগ। সে বিষয়ে চেক প্রজাতন্ত্রের দুর্নীতিদমন বিভাগের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করে সিবিআইয়ের ইকনমিক অফেন্স উইং।
এরপর তদন্তের সূত্র ধরে পুরো ঘটনার সঙ্গে ভারতীয় ফৌজে টাট্রা ট্রাক সরবরাহকারী রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা `বিইএমএল`-এর নামও উঠে আসে। পরীক্ষা করা হয়, টাট্রা ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা `ভারত আর্থ মুভার্স লিমিটেড` (বিইএমএল)-র মধ্যে ১৯৯৭ সালে স্বাক্ষরিত মউ-এর কপি-সহ যাবতীয় আর্থিক বিবরণী । ২০০৬ পর্যন্ত মেয়াদ থাকলেও ২০০৩ সালেই কেন তড়িঘড়ি সেই চুক্তি পুনর্নবীকরণ করা হল, সে ব্যাপারেও তদন্তে নেমে নটরাজনের অতিউত্সাহী ভূমিকা সম্পর্কে নিঃসংশয় হয়েছে সিবিআই। আর সে কারণেই এদিন সাসপেন্ড করা হল তাঁকে।