অসমে জনসংখ্যা বাড়ার পিছনে `অশিক্ষিত মুসলমান`দের দায়ী করলেন গগৈ
অসমে ক্রমশ বাড়তে থাকা জনসংখ্য পিছনে অশিক্ষিত মুসলমানদের দায়ী করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরণ গগৈ। অসমের জনসংখ্যার বেশিরভাগই মুসলমান। আর এর পিছনে বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলমানদের মধ্যে অনিয়ন্ত্রিত জন্ম হারকেই দায়ী করেছেন গগৈ।
অসমে ক্রমশ বাড়তে থাকা জনসংখ্য পিছনে অশিক্ষিত মুসলমানদের দায়ী করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরণ গগৈ। অসমের জনসংখ্যার বেশিরভাগই মুসলমান। আর এর পিছনে বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলমানদের মধ্যে অনিয়ন্ত্রিত জন্ম হারকেই দায়ী করেছেন গগৈ।
এদিন এক বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তরুণ গগৈ বলেন, "অশিক্ষার কারণেই এমনটা হয়। বেশিরভাগ মুসলমানই অশিক্ষিত। প্রত্যেকটি মুসলিম পরিবার অন্তত ৬ থেকে ১০টি করে সন্তানের জন্ম দেয়"। তবে শুধু মন্তব্য করেই থেমে থাকেননি তিনি। ২০০১ সালের সেনসাস রিপোর্ট থেকে নিজের বক্তব্যের সপক্ষে যুক্তিও দেখিয়েছেন গগৈ। প্রায় ৩ লক্ষের ওপর বেআইনি অনুপ্রবেশ সংক্রান্ত মামলা শুধুমাত্র প্রমাণের অভাবে ধুলে রয়েছে বলেও এদিন উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি।
তরুণ গগৈ সরকারের অন্যতম শরিক দল বোডোল্যান্ড পিপলস ফ্রন্টের ওপর তাঁর নির্ভরতা নিয়ে প্রশ্নেরও এদিন দৃঢ় ভাষায় প্রতিবাদ জানান গগৈ। তিনি বলেন, "এটা একেবারেই ভুল। আমি কখনও ওদের উপর নির্ভরশীল নই। আমার সরকারের ১২৯ জন বিধায়কের মধ্যে ৭৮ জনই কংগ্রেসের। যদি আমি সত্যিই বিপিএফ-এর উপর নির্ভরশীল হতাম, তাহলে কখনই বিপিএফ বিধায়কদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিতাম না"। তবে এদিন অসমের সাম্প্রতিক হিংসার ঘটনায় দায় স্বীকার করে নেন গগৈ।