বিজয়া দশমীতে বিজেপিতে যোগ দিলেন দক্ষিণের 'যোগী আদিত্যনাথ' স্বামী পরিপূর্ণনন্দ

বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ ও সাধারণ সম্পাদক রাম মাধবের উপস্থিতিতে বিজেপির সদস্যপদ নিলেন স্বামী পরিপূর্ণনন্দ।

Updated By: Oct 19, 2018, 06:13 PM IST
বিজয়া দশমীতে বিজেপিতে যোগ দিলেন দক্ষিণের 'যোগী আদিত্যনাথ' স্বামী পরিপূর্ণনন্দ

নিজস্ব প্রতিবেদন: তেলেঙ্গানায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে মাস্টারস্ট্রোক দিলেন মোদীর সেনাপতি অমিত শাহ। বিজেপিতে যোগ দিলেন দক্ষিণ ভারতের 'যোগী আদিত্যনাথ' হিসেবে পরিচিত স্বামী পরিপূর্ণনন্দ। গেরুয়া সন্ন্যাসীকে দলে বরণ করে নিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। 

দক্ষিণে হিন্দুত্বের হাওয়ায় গেরুয়া নিশান ওড়াতে বেশ কয়েকদিন ধরেই স্বামী পরিপূর্ণনন্দকে দলে টানার চেষ্টা চালাচ্ছিল বিজেপি। সেই ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন পরিপূর্ণনন্দ। সেই সন্ধিক্ষণ এল বিজয়া দশমীতে। সভাপতি অমিত শাহ ও সাধারণ সম্পাদক রাম মাধবের উপস্থিতিতে বিজেপির সদস্যপদ নিলেন স্বামী পরিপূর্ণনন্দ। বললেন,''প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও দলের সভাপতি অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানাই। দেশ ও ধর্মের জন্য কাজ করে এমন পরিবারের অংশ হলাম''। .

দক্ষিণের যোগী স্বামী পরিপূর্ণনন্দের কথায়, ''বিজেপির আদর্শ চারদিকে ছড়িয়ে দেব। যে কোনও জায়গায় কাজ করতে তৈরি রয়েছি। আমি সন্ন্যাসী। কোনও লোভ আমার নেই। তেলুগুরা আমায় অনেক কিছু দিয়েছেন। কর্মযোগী হিসেবে বিজেপির সদস্যপদ নিয়েছি''।     

তেলেঙ্গানা নির্বাচনেরর আগে পরিপূর্ণনন্দের অন্তর্ভূক্তিতে বিজেপির যে ফায়দা হবে তা গোপন করেননি অমিত শাহ। তাঁর কথায়,''পরিপূর্ণনন্দ বিজেপিতে সামিল হওয়ায় আগামী বিধানসভা নির্বাচনে লাভবান হব। গোটা দক্ষিণ ভারতের বিজেপির শক্তি বাড়বে''।

সূত্রের খবর, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে গ্রেটার হায়দরাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হতে পারেন স্বামী পরিপূর্ণনন্দ। 

কেন পরিপূর্ণনন্দকে দক্ষিণের যোগী আদিত্যনাথ বলা হচ্ছে? 

যোগী আদিত্যনাথের মতোই গেরুয়াধারী পরিপূর্ণনন্দ কট্টর হিন্দু। দক্ষিণ ভারতে তাঁর বিশাল সংখ্যক ভক্ত। বিভিন্ন সময়ে উস্কানিমূলক ভাষণও দিয়েছেন। অতিসম্প্রতিই উস্কানিমূলক ভাষণ দেওয়ার অভিযোগে তাঁকে হায়দরবাদ ছাড়তে বাধ্য করেছিল পুলিস। পুলিসের নির্দেশের উপরে পরে স্থগিতাদেশ দেয় পরে হাইকোর্ট।

রাজনৈতিক মহলের মতে, দক্ষিণে বিজেপির বিস্তারে স্বামী পরিপূর্ণনন্দ অনুঘটকের কাজ করতে পারেন। আগামী দিনে তাঁকে সামনে রেখেই দক্ষিণে চালানো হতে পারে কট্টর হিন্দুত্ব। ইতিমধ্যেই কেরলের শবরীমালা মন্দিরের বিতর্কে স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলছে, ভারতে সাক্ষরতার দিক থেকে এগিয়ে রাজ্যও ধর্মের গণ্ডি ছেড়ে বেরোতে পারেনি।   

আরও পড়ুন- তুঘলকি 'হিন্দুত্ববাদী' ফতোয়ায় মোদীর রাজ্যে অনিশ্চিত পরের বছরের দুর্গাপুজো

.