Abhishek Banerjee: 'সুপ্রিম' ধাক্কা, গ্রেফতারির আশঙ্কায় অভিষেক!
এ দিন আদালতে আইনজীবী অভিষেক মনু মনুসিঙ্ভি বলেন, “সিবিআই কোনও রকম সময় না দিয়েই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করছে।” ২৫ লক্ষ টাকার জরিমানার বিষয়টিও আদালতে উল্লেখ করেন আইনজীবী।
![Abhishek Banerjee: 'সুপ্রিম' ধাক্কা, গ্রেফতারির আশঙ্কায় অভিষেক! Abhishek Banerjee: 'সুপ্রিম' ধাক্কা, গ্রেফতারির আশঙ্কায় অভিষেক!](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2023/05/22/421829-abhishek23.jpg)
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ফের শীর্ষ আদালতে ধাক্কা খেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বার বার জেরা করা হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সম্পাদককে। কুন্তল ঘোষ চিঠি মামলায় অব্যহতি পেতে সুপ্রিম কোর্টে দ্রুত শুনানির আবেদন করেছিলেন অভিষেক। এদিন তা নাকচ করে দিল শীর্ষ আদালত। সেই সঙ্গে শুক্রবার শুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়। শনিবার অভিষেকের দায়ের করা আবেদনের শুনানি হতে পারে শুক্রবার।
আরও পড়ুন, অভিষেকের সভার আগেই ছিঁড়ল পোস্টার, উত্তেজনা বিষ্ণুপুরে!
তাই এই চারদিন কোনও রক্ষাকবচ ছাড়াই থাকতে হবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সোমবার দেশের শীর্ষ আদালতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে সওয়াল করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। তবে সেই আর্জি খারিজ করে দেয় বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি সঞ্জয় কারোলের বেঞ্চ। আবেদনে বলা হয়েছে, অভিষেককে রোজই সমন পাঠানো হচ্ছে। শনিবার তিনি ৯ ঘণ্টা কাটিয়েছেন। এর আগে দার্জিলিঙে থাকাকালীনও তিনি সমন পেয়েছেন।
অভিষেকের আশঙ্কা, পরের বার তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। অভিষেক প্রচার করছিলেন, সেই অবস্থায় সমন জারি করে। পরের দিন সকালে জেরায় তলব করা হয়। যদিও জেরায় হাজির হয়েছিলেন তিনি। তারপরও হেনস্থা করা হচ্ছে বলে দাবি তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের। প্রসঙ্গত, আদালতের নির্দেশ আসতেই শুক্রবারই অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে CBI. শনিবার সকাল১১টায় তাঁকে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে বলা হয় তাঁকে। ওদিকে শনিবার সকালে অভিষেক সিবিআইকে চিঠি দিয়ে জানান, হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
তদন্তের নাম করে জনসংযোগ যাত্রা ভাঙার চেষ্টা হচ্ছে বলে দাবি করলেন অভিষেক। সিবিআই নিয়ে অভিষেক আরও বলেন, এসএসসি, সারদা, নারদায় এতদিন তদন্ত হচ্ছে। নেট রেজাল্ট কী? শূন্য। যারা তদন্ত করছে তাদের হয় ইস্তফা দেওয়া উচিত নয়তো যাদের কথায় তদন্ত করছেন তাদের ইস্তফা দেওয়া উচিত। নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় এখন ইডি-র হেফাজতে কুন্তল ঘোষ। গত ৬ এপ্রিল ধৃতকে যখন আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়, তখন বিচারক একটি চিঠি দেন কুন্তল।
চিঠিতে তাঁর অভিযোগ, 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নাম বলানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন তদন্তকারীরা'। সিবিআই ও ইডি-কে তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রয়োজনে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ নির্দেশে কথাও বলেন। এমনকী উচ্চ আদালতের বিচারপতি অমৃতা সিনহা রায় দেন যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। এরপর প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে দ্বারস্থ হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কুন্তলের চিঠি মামলায় দ্রুত শুনানির আর্জি নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চ্যালেঞ্জ আবেদন ফেরালেন প্রধান বিচারপতিও। জানান, দ্রুত শুনানি সম্ভব নয়।