১০ দিনের মধ্যে রাফালের দাম জানানোর নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, সম্ভব নয় যুক্তি কেন্দ্রের
প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ বুধবার জানতে চায়, কেন্দ্র কেন রাফালের দাম জানানোয় অপারগ, তা মুখবন্ধ খামে ১০ দিনের মধ্যে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দশ দিনের মধ্যে কেন্দ্রকে রাফালের দামের তথ্য জানানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। যদিও অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সওয়াল করেন, রাফাল চুক্তি অনুযায়ী, প্রকাশ্যে দাম জানানো নিয়ম বহির্ভূত। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ বুধবার জানতে চায়, কেন্দ্র কেন রাফালের দাম জানানোয় অপারগ, তা মুখবন্ধ খামে ১০ দিনের মধ্যে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে। ওই দিনেই রাফালের দাম-ও জানাতে হবে বলে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন- মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় পুরোহিত-সাধ্বী-সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করল এনআইএ আদালত
আগামী ১৪ নভেম্বর রাফাল মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জসবন্ত সিনহা এবং অরুণ সৌরির রাফাল নিয়ে করা মামলা এ দিন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি ইউ ইউ ললিত এবং বিচারপতি কে এম জোসেফের বেঞ্চে শুনানি হয়। এ দিন এজলাসে রাফাল চুক্তির তথ্য অনলাইনে প্রকাশ করার দাবি জানান আবেদনকারীদের আইনজীবী। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, রাফাল বিষয়ে যে সব তথ্য প্রকাশ্যে জানানো সম্ভব, কেন্দ্রকে অতি অবশ্যই অনলাইনে প্রকাশ করতে হবে এবং মামলাকারীদের কাছে সেই তথ্য তুলে দিতে হবে।
আরও পড়ুন- কংগ্রেসের আমলে ‘যথেচ্ছ’ ঋণ দিয়েছে ব্যাঙ্কগুলো, আরবিআই বিতর্কে পাল্টা জেটলি
এর আগে সুপ্রিম কোর্ট রাফাল চুক্তির প্রক্রিয়া কীভাবে হয়েছে, তা মুখবন্ধ খামে হলফনামা দিয়ে কেন্দ্রকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছিল। তবে, ভারতীয় বায়ুসেনার নিরাপত্তার জন্য রাফালের দাম এবং প্রযুক্তিগত উপযোগিতা বিষয়ে জানতে চায়নি সুপ্রিম কোর্ট। রাফাল নিয়ে সিবিআই তদন্তের যে দাবি আবেদনকারীরা জানিয়েছিলেন, বুধবার সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে এখনই সিবিআই তদন্ত প্রয়োজন নেই।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে তত্কালীন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোয়াঁ ওলাঁদ এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে রাফাল চুক্তি হয়। এই চুক্তি অনুযায়ী, ১২৬টির পরিবর্তে ৩৬টি রাফাল দেবে ফরাসি যুদ্ধবিমান সংস্থা দ্যাসোঁ। বাকি রাফাল তৈরির ক্ষেত্রে অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে বরাত মেলে অনিল অম্বানির সংস্থারও। বিরোধীরা অভিযোগ করে, রিলায়্যান্স সংস্থাকে অবৈধভাবে বরাত পাইয়ে দিয়েছে মোদী সরকার। পাশাপাশি, কত টাকায় রাফাল চুক্তি হয়েছে, তার জবাব দাবি করেন তাঁরা। কিন্তু কেন্দ্রের স্পষ্ট অবস্থান, দেশের নিরাপত্তার প্রশ্নে রাফাল চুক্তি প্রকাশ্যে আনা সম্ভব নয়।