কোর্টেও ধাক্কা মায়ার, নির্বাচনী প্রচারে কমিশনের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তে বহাল সুপ্রিম কোর্টের
নির্বাচনী প্রচারে কমিশনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বহুজন সমাজপার্টির সুপ্রিমো মায়াবতী। কিন্তু তাঁর এই আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। দ্বিতীয় দফা ভোটগ্রহণ শুরু আগে মায়াবতীর বড়সড় ধাক্কা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নির্বাচনী প্রচারে কমিশনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বহুজন সমাজপার্টির সুপ্রিমো মায়াবতী। কিন্তু তাঁর এই আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। দ্বিতীয় দফা ভোটগ্রহণ শুরু আগে মায়াবতীর বড়সড় ধাক্কা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের জেরে গতকাল মায়াবতীর জন্য ৪৮ ঘণ্টা নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কমিশন। পাশাপাশি, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ৭২ ঘণ্টা এবং বিজেপি নেত্রী মেনকা গান্ধীকে ৪৮ ঘণ্টা প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। আজ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেন, “আদালতের নির্দেশে দেখছি ঘুম ভেঙেছে কমিশনের। বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের জন্য রাজনৈতিক নেতাদের নির্বাচনী প্রচারে কমিশনের নিষেধাজ্ঞা সিদ্ধান্তের উপর নতুন কোনও রায় নয়।”
আরও পড়ুন- শেষবেলায় সতপালকে নামিয়ে গোর্খা আবেগে শান দিতে চলেছে বিজেপি
উল্লেখ্য, দিওবাঁধে এক জনসভায় নির্বাচনী প্রচারে বক্তৃতা দিতে গিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের উদ্দেশে মায়াবতী বলেন, কংগ্রেস এবং তাঁর সঙ্গীদের মধ্যে ভোট ভাগ করতে দেবেন না। সাম্প্রদায়িক মন্তব্যের জন্য যোগীকে ৩ দিন প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সমাজবাদী পার্টির নেতা আজ়ম খানকেও একই সময় পর্যন্ত ব্যান করা হয়। বিজেপি প্রার্থী জয়প্রদাকে নিয়ে কুরুচিকরম মন্তব্য করে দেশজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় সপার প্রবীণ নেতা আজ়ম খানকে। পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক মন্তব্যের জেরে বিজেপি নেত্রী মেনকা গান্ধীকেও দু’দিনের প্রচারে ব্যান করা হয়েছে।
আগামী ১৮ এপ্রিল হচ্ছে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ। গতকালই শেষ নির্বাচনী প্রচারের সময়সীমা। উত্তর প্রদেশের ৮টি আসনে হবে ভোটগ্রহণ। ঠিক এই মুহূর্তে দুই দলের অন্যতম মুখ যোগী এবং মায়াবতী প্রচারে না থাকায় বিজেপি-বসপা কার্যত ধাক্কা খেল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। সুপ্রিম কোর্টের কাছে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, নির্বাচনের ‘মডেল কোড’ লঙ্ঘন করলেও কড়া পদক্ষেপ করার ক্ষমতা নেই কমিশনের। ভোটে লড়ার ক্ষেত্রে বাধা দেওয়ার ক্ষমতা নেই।
আরও পড়ুন- নির্দল প্রার্থী হতে কংগ্রেস ছাড়লেন শাকিল আহমেদ
কমিশনের এমন মন্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ জানায়, কমিশন নিজেদেরকে দাঁতহীন বলে উল্লেখ করছে। ধর্ম, জাত নিয়ে যাঁরা বিতর্কিত মন্তব্য করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে নোটিস জারি করলেও কার্যকর করা হচ্ছে না বলে জানায় আদালত। এ বিষয়ে পর্যবেক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশনের একজন প্রতিনিধিকে নিয়োগ করে সবিস্তারে আদালতকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের এই নির্দেশের পরই সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করে যোগী আদিত্যনাথ এবং মায়াবতীর কড়া পদক্ষেপ নেয় নির্বাচন কমিশন।