আস্থা ভোটে ঘুষ, সুধীন্দ্র কুলকার্নির জামিন নিয়ে দিল্লি পুলিসের মত চাইল হাইকোর্ট
২০০৮ সালে সাংসদে আস্থা ভোটে ঘুষ কাণ্ডে ধৃত সুধীন্দ্র কুলকার্নি এবং প্রাক্তন দুই বিজেপি সাংসদের জামিনের আবেদনের বিষয়ে পুলিসের মতামত জানতে চাইল দিল্লি হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি এম এল মেহতা আগামী ১৪ নভেম্বরের মধ্যে এ ব্যাপারে অবস্থান জানানোর জন্য দিল্লি পুলিসের উদ্দেশ্যে একটি নোটিশ জারি করেছেন।
২০০৮ সালে সাংসদে আস্থা ভোটে ঘুষ কাণ্ডে ধৃত সুধীন্দ্র কুলকার্নি এবং প্রাক্তন দুই বিজেপি সাংসদের জামিনের আবেদনের বিষয়ে পুলিসের মতামত জানতে চাইল দিল্লি হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি এম এল মেহতা আগামী ১৪ নভেম্বরের মধ্যে এ ব্যাপারে অবস্থান জানানোর জন্য দিল্লি পুলিসের উদ্দেশ্যে একটি নোটিশ জারি করেছেন।
২০০৮ সালে লোকসভায় টাকার বিনিময়ে ভোট কাণ্ডের জেরে গত ২৭ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয় বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীর প্রাক্তন রাজনৈতিক সচিব সুধীন্দ্র কুলকার্নিকে। এ রাজা,কানিমোলি, সুরেশ কালমাডি, অমর সিংয়ের মতোই হাই প্রোফাইল এই অভিযুক্তকে পাঠানো হয় তিহার জেলে। সুধীন্দ্র অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন জানালেও ২১ অক্টোবর তা নাকচ করে দিল্লির তিস হাজারি বিশেষ আদালত। লালকৃষ্ণ আডবাণীর প্রাক্তন রাজনৈতিক সচিবের পাশাপাশি ঘুষ কাণ্ডে ধৃত দুই প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ মহাবীর ভাগোরা এবং ফগ্গন সিং কুলাস্তের জামিনের আবেদনও খারিজ করেন বিচারক সংগীতা ধিংড়া সেহগল। এই ঘটনার আগে গত ৬ এবং ১৯ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যদানের জন্য সুধীন্দ্র কুলকার্নিকে তলব করেছিলেন বিচারক সেহগল। কিন্তু আমেরিকায় থাকায় আদালতে হাজির হননি তিনি।
আস্থা ভোটে ঘুষ মামলায় পেশ করা চার্জশিটে দিল্লি পুলিশের অভিযোগ, বিজেপির তিন সাংসদের মাধ্যমে তত্কালীন সমাজবাদী পার্টির নেতা অমর সিংয়ের কাছে টাকার বিনিময়ে ভোটের প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন সুধীন্দ্র। যদিও আদালতে সুধীন্দ্র কুলকার্নির সাফাই, ইউপিএ সরকারের দুর্নীতি ফাঁস করতেই সুহেল হিন্দুস্তানি এবং তিন বিজেপি সাংসদকে নিয়ে 'স্টিং অপারেশন' চালিয়েছিলেন তিনি। তাঁদের তরফে কোনও কিছু গোপন করারও চেষ্টা হয়নি।
ভারত-মার্কিন পরমাণু চুক্তি নিয়ে বিরোধের জেরে বামেরা সমর্থন প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর ২০০৮-এর ২২ জুলাই লোকসভায় আস্থা ভোটের মুখোমুখি হয় মনমোহন সরকার। আস্থা ভোট বিতর্কের সময় তিন বিজেপি সাংসদ অশোক আরগল, ফগ্গন সিং কুলাস্তে ও মহাবীর ভাগোরা নোটের বান্ডিল নিয়ে স্পিকারের সামনে বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা বলেন, টাকা দিয়ে ভোট কিনতে চেয়েছেন অমর সিং। গত ৬ সেপ্টেম্বর আস্থা ভোটে ঘুষ মামলার জেরে গ্রেফতার হন অমর সিং, মহাবীর ভগোরা ও ফগ্গন সিং কুলাস্তে। যদিও পরে স্বাস্থ্যের কারণে অমরের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে দিল্লির তিস হাজারি বিশেষ আদালত। পরে হাইকোর্ট এইমস-এ চিকিত্সাধীন রাজ্যসভা সাংসদ অমরকে স্থায়ী জামিন দেয়।