প্রয়াত পাহাড় আন্দোলনের সুপ্রিমো সুবাস ঘিসিং
প্রয়াত সুবাস ঘিসিং। দীর্ঘদিন দিল্লির হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। কাল সকাল এগারোটায় বিমানে করে আনা হবে দেহ। সুবাস ঘিসিংয়ের মৃত্যুতে শোকের ছায়া রাজ্য রাজনীতিতে। ঘিসিংয়ের মৃত্যুর সংবাদ আসতেই পাহাড়েও শোকের ছায়া। ১৯৮৮ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দার্জিলিং হিল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ছিলেন ঘিসিং। পাহাড়ে কার্যত তাঁর আদেশই শেষ কথা হিসাবে মানা হত। কিন্তু বিমল গুরুংদের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা আবির্ভাবের পর থেকে ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়েন সুবাস। পাহাড় ছেড়ে তাঁকে সমতলে চলে আসতে হয়।
ওয়েব ডেস্ক: জীবনাবসান হল পাহাড় আন্দোলনের সুপ্রিমো,জিএনএলএফ নেতা সুবাস ঘিসিংয়ের। বয়স হয়েছিল ৭৯। দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। ভর্তি ছিলেন দিল্লির একটি হাসপাতালে। বাম আমলে পাহাড়ে গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন সুবাস ঘিসিং।
১৯৮০ সালে তার হাত ধরেই তৈরি হয় গোর্খা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট বা জিএনএলএফ। গোর্খাদের পৃথক রাজ্যের দাবিতে ক্রমশই জোরালো হয় আন্দোলন। শুরু হয় জঙ্গি আন্দোলন। উত্তপ্ত হয় পাহাড়। পাহাড় আন্দোলনে প্রাণ যায় অন্তত বারোশ জনের। ১৯৮৮ সালে পাহাড়ে স্বায়ত্ব শাসনের শর্তে বাম সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রের মধ্যস্থতায় তৈরি হয় দার্জিলিং গোর্খা হিল কাউন্সিল। স্তিমিত হয় আন্দোলন। হিল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হন সুবাস ঘিসিং।
টানা কুড়ি বছর হিল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ছিলেন সুবাস ঘিসিং। হয়ে ওঠেন পাহাড়ের একচ্ছত্র নেতা। কিন্তু সময়ের সঙ্গে ভাঙন ধরে জিএনএলএফে। জিএনএলএফ ভেঙে তৈরি হয় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। পাহাড়ে নতুন নেতা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন বিমল গুরুং। দুহাজার এগারোর বিধানসভা নির্বাচনে পাহাড়ে নিজের ক্ষমতা ফিরে পেতে ফের ময়দানে নামেন সুবাস। দার্জিলিংয়ের তিন কেন্দ্রে প্রার্থী দেয় ঘিসিংয়ের দল। সবকটিতেই শোচনীয় পরাজয় হয় পাহাড়ি বাঘের। ২০১১ সালের ১৬ মে ফের পাহাড় ছাড়তে বাধ্য হন সুবাস ঘিসিং। কিন্তু পাহাড়ে আর সিংহ বিক্রমে ফিরতে পারেননি । পাহাড়ের পুরনো মেজাজে ফেরার স্বপ্ন থেকে গেল অধরাই। শেষ হল পাহাড় আন্দোলনের এক অধ্যায়।