দিল্লি হিংসায় উস্কানি! দলের নেতা কপিল মিশ্রের বিরুদ্ধেই সরব গৌতম গম্ভীর
সিএএ বিরোধী ও সমর্থনকারীদের সংঘর্ষে তুলকালাম হয়ে ওঠে দিল্লির জাফরাবাদ থেকে মৌজপুর
নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লির হিংসায় এখনও পর্যন্ত ৭ জনের প্রাণ গিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়েন করা হয়েছে ৩৫ কোম্পানি আধাসেনা। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দিল্লির আইন শৃঙ্খলা নিয়ে বৈঠকে বসেন অরবিন্দ কেজরীবাল। এরকম এক অবস্থায় হাঙ্গামাকারী-সহ দলের নেতা কপিল মিশ্রের বিরুদ্ধেই সরব হলেন দিল্লির বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীর।
আরও পড়ুন-রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টার হিংসায় নিহত ৭; পুড়ল গোটা বাজার, নামল ৩৫ কোম্পানি আধাসেনা
জাফরাবাদ-সহ উত্তরপূর্ব দিল্লির একাধিক জায়গায় ছড়িয়ে পড়া হিংসার পেছনে বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রকেও দায়ি করছে কোনও কোনও মহল। রবিবার পুলিসের সামনেই তিনি সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে উত্তেজক বক্তব্য রাখেন। সিএএ বিরোধী আন্দোলনকারীদের সম্পর্কে তিনি বলেন, এইসব লোকেরা চায় দিল্লিতে আগুন জ্বলুক। তাই এরা রাস্তা আটকে দাঙ্গার পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। ট্রাম্প যতদিন পর্যন্ত এখানে থাকবেন ততদিন আমরা শান্তি বজায় রাখব। কিন্তু তারপর আমরা এইসব রাস্তা খালি করে দেব।
दिल्ली पुलिस को तीन दिन का अल्टीमेटम - जाफराबाद और चांद बाग की सड़कें खाली करवाइए इसके बाद हमें मत समझाइयेगा , हम आपकी भी नहीं सुनेंगे, सिर्फ तीन दिन@DelhiPolice pic.twitter.com/9ozTazMZew
— Kapil Mishra (@KapilMishra_IND) February 23, 2020
দিল্লির গোলমালের পেছনে কপিল মিশ্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হয় গম্ভীরকে। তিনি বলেন, হাঙ্গামার পেছনে যে-ই থাক, তা সে কপিল মিশ্র হোক বা অন্য কেউ, উসকানিমূলক বক্তব্য যদি কেউ রাখে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। পুলিস যদি নিরাপদ না থাকে তাহলে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা হবে!
BJP MP Gautam Gambhir on Kapil Mishra's speech: No matter who the person is, whether he is Kapil Mishra or anyone else, belonging to any party, if he has given any provoking speech then strict action should be taken against him. #NortheastDelhi pic.twitter.com/pBmtBORxIY
— ANI (@ANI) February 25, 2020
আরও পড়ুন-ভাইরাস আতঙ্ক সুপ্রিম কোর্টেও, H1N1-এ আক্রান্ত ৬ বিচারপতি
উল্লেখ্য, সিএএ বিরোধী ও সমর্থনকারীদের সংঘর্ষে তুলকালাম হয়ে ওঠে দিল্লির জাফরাবাদ থেকে মৌজপুর। পাশাপাশি ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ চলে চাঁদাবাগ, খুরেজি খাস, ভজনপুরা এলাকায়। এখনও পর্যন্ত ১৬০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১১ পুলিসকর্মী রয়েছেন।