“ভারতে সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে আশাবাদী”, মোদীর ‘মন কি বাত’-এ বরফ গলল ট্রাম্পের!
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারসাম্য এবং মুক্ত বাণিজ্য পক্ষে কাজ করবে দুই দেশ। সর্বাঙ্গীন বাণিজ্য চুক্তির পক্ষে সহমত পোষণ করেছেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে তাঁদের
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারত ও আমেরিকার সম্পর্ক দুই সরকারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। দুই দেশের নাগরিকও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। হায়দরাবাদ হাউজে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠক শেষে প্রেস বিবৃতিতে এ কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শিলমোহর দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্টও। মোতেরা স্টেডিয়ামে লক্ষাধিক মানুষের অভ্যর্থনার রেশ তাঁর এখনও কাটেনি। এ দিন তিনি বলেন, এমন রাজকীয় অভ্যর্থনা তাঁর সারা জীবন মনে থাকবে। তবে, একথা মেনে নেন মোতেরায় ভিড় মোদীকে দেখেই হয়েছে। তার মাঝে আশার বাণীও শোনালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বললেন, “ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তি নিয়ে আশাবাদী আমি।“
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারসাম্য এবং মুক্ত বাণিজ্য পক্ষে কাজ করবে দুই দেশ। সর্বাঙ্গীন বাণিজ্য চুক্তির পক্ষে সহমত পোষণ করেছেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে তাঁদের। ২৪ এমএইচ-৬০ রোমিও হেলিকপ্টার্স এবং ৬টি এএইচ-৬৪ই অ্যাপাচে বিক্রি করবে আমেরিকা। ভারতীয় সেনা বাহিনীর জন্য মোট ৩০০ কোটি ডলার মূল্যে হেলিকপ্টার কেনা হবে।
আরও পড়ুন- পুলিসের কোনও কমতি হবে না, হিংসা রুখতে কেজরীকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস শাহর
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাথমিক পর্যায়ে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে। এই আলোচনার সুদূরপ্রসারী সুফল রয়েছে। ট্রাম্প যে সব পণ্যের উপর শুল্ক ছাড়ের দাবি জানাচ্ছে, এই মুহূর্তে চুক্তিতে গেলে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে ভারতীয় বাজারে। মুক্ত শুল্ক করার দাবিতে ট্রাম্প ভারতের উপর চাপ সৃষ্টি করলেও, কৌশলে এড়িয়ে যেতে পেরেছে নয়া দিল্লি। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। পাশাপাশি, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় নিরাপত্তা আরও মজবুত করতে ট্রাম্পের আশ্বাসও উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে।