বাদল অধিবেশনের আগে স্পিকারের ডাকে সর্বদল বৈঠক

বুধবার থেকে শুরু হতে চলেছে সংসদের বাদল অধিবেশন। তার আগে সোমবার সংসদ ভবনে স্পিকারের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। এবারের অধিবেশনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পেশের সম্ভাবনা রয়েছে। পেশ হতে পারে বিতর্কিত জমি অধিগ্রহণ এবং খাদ্য সুরক্ষা বিল। জমি অধিগ্রহণ বিলকে ঘিরে ইউপিএ-র শরিকদলগুলির মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে।

Updated By: Aug 6, 2012, 12:58 PM IST

বুধবার থেকে শুরু হতে চলেছে সংসদের বাদল অধিবেশন। তার আগে সোমবার সংসদ ভবনে স্পিকারের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। এবারের অধিবেশনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পেশের সম্ভাবনা রয়েছে।  পেশ হতে পারে বিতর্কিত জমি অধিগ্রহণ এবং খাদ্য সুরক্ষা বিল। জমি অধিগ্রহণ বিলকে ঘিরে ইউপিএ-র শরিকদলগুলির মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে।  এ নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে বারবার বৈঠকে হলেও মেলেনি কোনও সমাধান সূত্র। তাই চাপে রয়েছে কংগ্রেস। অন্যদিকে খাদ্য সুরক্ষা বিল নিয়ে বামেদের আক্রমণের মুখে পড়তে চলেছে কেন্দ্র। 
ইতিমধ্যেই এপিএল-বিপিএল না দেখে সবাইকে গণবণ্টন ব্যবস্থার মধ্যে আনার দাবি জানিয়েছে চার বাম দল। একইসঙ্গে উদ্বৃত্ত খাদ্যশস্য খরা কবলিত এলাকায় বন্টনের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। গত শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এই সংক্রান্ত স্মারকলিপি জমা দেয় চার সদস্যের বাম প্রতিনিধি দল। স্ট্যান্ডিং কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী তাঁদের দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাম নেতারা। তার আগে শুক্রবার শেষ হয় দেশের সব নাগরিকের জন্য খাদ্য সুরক্ষার দাবিতে বামেদের পাঁচদিনের আন্দোলন।
কেন্দ্রের আনা খাদ্য সুরক্ষা বিলের বেশ কিছু অংশ নিয়ে আপত্তি রয়েছে বামেদের। তাদের বক্তব্য, বিলের আওতায় অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের আনা হয়নি। অথচ এঁদের একটা বড় অংশই দারিদ্রসীমার নিচে বাস করে। বামেদের দাবি, এপিএল, বিপিএল-এ ভাগ না করে সবাইকেই গণবন্টন ব্যবস্থার মধ্যে আনতে হবে। খাদ্য সুরক্ষা বিল সংশোধন করে আসন্ন বাদল অধিবেশনে পেশ করার দাবিও তুলেছে বাম দলগুলি। সরকারের ঘরে প্রায় পাঁচ কোটি টন খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে বলে বামেদের দাবি। তার মধ্যে প্রায় পঁচিশ লক্ষ টন রফতানি করা হয়েছে। বাম প্রতিনিধি দলের দাবি, রফতানি না করে ওই খাদ্যশস্য খরা কবলিত এলাকায় বন্টন করুক কেন্দ্র। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর এফসিআই-এর গুদামগুলি ঘেরাওয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বামেরা।

.