বিরোধী-বৈঠকে Mamata-র কথাই Sonia-র মুখে, বাধ্যবাধকতার ঊর্ধ্বে উঠে বিকল্পের ডাক
কংগ্রেস যে বিরোধী জোটের নেতৃত্ব দিতে চায়, তার ইঙ্গিতও দিয়েছেন সনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০২৪ সালে লোকসভা ভোট। বছর তিনেক হাতে থাকলেও এখন থেকেই বিরোধী দলগুলির ফ্রন্ট তৈরি করতে হবে বলে একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে বার্তা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তৃণমূল নেত্রীর কথাই শুক্রবার সনিয়ার মুখে। এ দিন ১৯ বিরোধী দলের বৈঠকে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী স্পষ্ট করে দিলেন, পাখির চোখ ২০২৪। সেটা মাথায় রেখে ধাপে ধাপে পরিকল্পনা সাজাতে হবে বিরোধীদের। তিনি বলেন,'এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু আমাদের সব কিছুর ঊর্ধ্বে উঠে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কারণ এছাড়া কোনও বিকল্প নেই। এখন থেকে আমাদের একটাই লক্ষ্য- স্বাধীনতা সংগ্রামের নীতি এবং সংবিধানের মূল্যবোধগুলি পাথেয় করে চলবে এমন সরকার গঠন।'
২০১৯ সালেও বিরোধী দলগুলি একজোট হওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। নিজ নিজ স্বার্থের বেড়া ডিঙিয়ে সারা দেশে জোট সম্ভব হয়নি। ফলাফল, ২০১৪ সালের চেয়েও বেশি আসন জিতে দিল্লির ক্ষমতায় ফেরেন নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। একই ভুলের পুনরাবৃত্তি ২০২৪-এ চাইছেন না সনিয়া (Sonia Gandhi)। তাঁর বার্তা,'আমাদের সকলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু এটাই সময় যখন দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে তার ঊর্ধ্বে উঠতে হবে।'
তবে কংগ্রেস যে বিরোধী জোটের নেতৃত্ব দিতে চায়, তার ইঙ্গিতও এ দিন দিয়েছেন সনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। যা নিয়ে পরে বিরোধীদের মধ্যে মতানৈক্য তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। কারণ কংগ্রেসের সেই শক্তি আর নেই। রাজ্যে রাজ্যে আঞ্চলিক দলগুলির প্রভাবই বেশি। বিরোধী নেতানেত্রীদের 'বেসুরো' ভাবনা আঁচ করে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী বলেন,'এমনটা হতে পারে না যে কংগ্রেসের কোনও অস্তিত্ব নেই।'
A time has come when the interests of our nation demand that we rise above our compulsions. The 75th anniversary of India's Independence is indeed the most appropriate occasion for us to reaffirm our individual & collective resolve.
- Congress President Smt. Sonia Gandhi pic.twitter.com/pPhp7xHjwI
— Congress (@INCIndia) August 20, 2021
এ দিন কংগ্রেস ছাড়াও ১৮ দলের নেতানেত্রীরা হাজির ছিলেন সনিয়ার (Sonia Gandhi) ডাকা ভার্চুয়াল বৈঠকে। এর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলা-সহ ৪ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা- পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তামিলনাড়ুর এমকে স্টালিন, মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে ও ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেন। এছাড়া থেকেছেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লা, এনসিপি-র শরদ পাওয়ার, এলজেডি-র শরদ যাদব এবং সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি প্রমুখ। গরহাজির ছিল সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টি। ডাকা হয়নি আম আদমি পার্টিকে।
আরও পড়ুন- Arvind Menon: ৫৩ বছরে শুরু গার্হস্থ্য জীবন, ছাদনাতলায় কৈলাসের সহকারী