'কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দিন', বিদেশ সফরের আগে গেহলোতকে বললেন সোনিয়া
যদিও জানা গিয়েছে যে গেহলোত এখনও পর্যন্ত দলের শীর্ষ পছন্দ। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী নিজেই সোমবার বলেন যে রাহুল গান্ধীর তাঁর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা উচিত কারণ তাঁর শীর্ষ পদে না থাকা দলের কর্মীদের নিরাশ করবে। গেহলোত দলের সভাপতি হওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেছেন যে রাহুল গান্ধী দলের সভাপতির জন্য সর্বসম্মত পছন্দ ছিলেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোত কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারে একজন সোচ্চার সমালোচক। কংগ্রেস সভাপতির পদের জন্য শীর্ষ পছন্দ হিসাবে শোনা যাচ্ছে তাঁর নাম। দলের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে এই খবর। তাদের মতে, অন্তর্বর্তীকালীন কংগ্রেস প্রধান সোনিয়া গান্ধী নিজের মেডিকেল চেক-আপ এবং চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার আগে গেহলোতকে দলের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। যদিও এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি। তবে জানা গিয়েছে যে সোনিয়া গান্ধী একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে তার অনুপস্থিতিতে গেহলটকে দলের লাগাম লাগাম ধরার অনুরোধ করেছেন। গেহলোত শিবিরের তরফেও এই বিষয়টি এখনও নিশ্চিত করা হয়নি। তবে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে কংগ্রেস এই শীর্ষ পদের জন্য এইবার গান্ধী পরিবারের বাইরে অন্য কারোর কথা ভাবছে।
২০ সেপ্টেম্বর কংগ্রেস দলের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনের সময়সীমা এগিয়ে আসার পরেই এই সমস্ত ঘটনা সামনে এসেছে। কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের বিস্তারিত সময়সূচী খুব তারাতারি প্রকাশিত হবে বলে জানা গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে যে এই পুরো প্রক্রিয়াটি ২০ সেপ্টেম্বরের নির্দিষ্ট সময়সীমার আশেপাশে কোনও বড় সমস্যা ছাড়াই সম্পন্ন হবে। মঙ্গলবার দলীয় সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে।
কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কর্তৃপক্ষ পরবর্তী কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের জন্য সময়সীমা ঘোষণা করার জন্য পার্টির কার্যনির্বাহী কমিটির অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। রাহুল গান্ধীর প্রত্যাখ্যানের পরে কংগ্রেস এখনও শীর্ষ পদের জন্য ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রার্থীর সন্ধানে রয়েছে।
যদিও সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে গেহলোত এখনও পর্যন্ত দলের শীর্ষ পছন্দ। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী নিজেই সোমবার বলেন যে রাহুল গান্ধীর তাঁর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা উচিত কারণ তাঁর শীর্ষ পদে না থাকা দলের কর্মীদের নিরাশ করবে। গেহলোত দলের সভাপতি হওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেছেন যে রাহুল গান্ধী দলের সভাপতির জন্য সর্বসম্মত পছন্দ ছিলেন।
আরও পড়ুন: 'Hindu sentiments hurt': প্রসাদ প্রত্যাখ্যান মন্ত্রীর, 'হিন্দু ধর্মকে আঘাত' করার বড় অভিযোগ পুরোহিতের
সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে যে কংগ্রেস সেপ্টেম্বরের মধ্যে সাংগঠনিক নির্বাচন সম্পন্ন করতে চায়। রাজ্য কমিটি থেকে গুলাম নবী আজাদ এবং আনন্দ শর্মার পদত্যাগের পরে জি-২৩ গ্রুপের সঙ্গে লড়াইয়ে থাকতে চায় না। শক্তিশালী নেতা ভূপিন্দর সিং হুডা দলের সিনিয়র নেতাদের জন্য আওয়াজ তুলেছেন। এই অবস্থায় তারা ছাইছে সময়ের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে।
উল্লেখ্য বিষয় হল যে কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা মনীশ তেওয়ারি সম্প্রতি অগ্নিপথ প্রকল্পে কংগ্রেসের অবস্থানের বিপরীত অবস্থান নিয়েছেন, যা দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। আরও একটি ধারণা রাজনৈতিক মহলে চলছিল যে সোনিয়া গান্ধী দলের সভাপতি হিসাবে কাজ চালিয়ে যাবেন এবং প্রতিটি অঞ্চলের জন্য কার্যকরী সভাপতি নিয়োগ করা হবে। দলের শীর্ষ পদের জন্য অন্য যে নামটি জল্পনায় রয়েছে তা হল ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল।