শ্রীনগর যাওয়ার পরিকল্পনা সীতারামের, চিঠি জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপালকে
ভেঙে যাওয়া জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার দলীয় বিধায়ক ও অন্যান্য নেতৃত্বের খোঁজ নিতে শুক্রবার শ্রীনগরে যেতে চান সীতারাম ইয়েচুরি। প্রশাসন যাতে তাঁকে বাধা না দেয়, সে জন্য রাজ্যপাল সত্যপাল মালিককে চিঠি দিলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভেঙে যাওয়া জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার দলীয় বিধায়ক ও অন্যান্য নেতৃত্বের খোঁজ নিতে শুক্রবার শ্রীনগরে যেতে চান সীতারাম ইয়েচুরি। প্রশাসন যাতে তাঁকে বাধা না দেয়, সে জন্য রাজ্যপাল সত্যপাল মালিককে চিঠি দিলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক।
রাজ্যপালকে দেওয়া চিঠিতে ইয়েচুরি লিখেছেন, 'জম্মু-কাশ্মীরে বামপন্থী দলের একটি ইউনিট রয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা ভাঙার আগে বিধায়ক ছিলেন সিপিএমের মহম্মদ ইউসুফ তারগামি। দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তারিগামির সঙ্গে সাক্ষাত্ করতে চাই। জানতে পেরেছি, ওনার স্বাস্থ্য ভালো নেই। ৯ অগাস্ট সকালে শ্রীনগরে পৌঁছব। আশা করি, দলের নেতা হিসেবে আমার দায়িত্ব পালনে প্রশাসন কোনও বাধা দেবে না।'
জম্মু-কাশ্মীর থেকে অনুচ্ছেদ ৩৭০ প্রত্যাহার করেছে মোদী সরকার। একইসঙ্গে জম্মু-কাশ্মীর ভেঙে গঠন করা হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ। দুটিই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। তবে জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা থাকবে। ওই সিদ্ধান্ত গণতন্ত্র ও সংবিধান বিরোধী বলে সোচ্চার হয়েছে সিপিএম-কংগ্রেস। রাজ্যে মিছিলও করেছে ডিওয়াইএফআই। কিন্তু, ৩৭০ ধারা নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরেই তৈরি হয়েছে মতানৈক্য। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, দীপেন্দ্র হুডার মতো নেতারা সমর্থন দিয়েছেন। এমনকি জনসাধারণের আবেগের বিরোধাভাষ করছে দল, তাও শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়েছেন তরুণ নেতারা। কংগ্রেসের মধ্যে এমন বিভাজন নিয়ে হঠাত্ করে ফেসবুকে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন সিপিএম নেতা মানব মুখোপাধ্যায়। ফেসবুকে লিখেছে, 'ধর্মনিরপেক্ষতার অবসান। জাতীয় কংগ্রেসও সমাপ্ত।'
এরপরই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষ জোটের ভবিষ্যত কী? একইসঙ্গে গেরুয়া শিবির প্রশ্ন তুলছে, কাশ্মীরের অবস্থা নিয়ে বিবৃতি জারি করেছে সিপিএম। কিন্তু সেখানে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের বিতারণের কথা নেই কেন? সিপিএমের ধর্মনিরপেক্ষতা কি নির্বাচিত?