সহস্র `গোলাপের` মাঝেও শিবসেনার কাঁটা খেলেন মোদী। কালো টাকা উদ্ধারে গঠন বিশেষ দল
সহস্র `গোলাপের` মাঝেও শিবসেনার কাঁটা খেলেন মোদী। কালো টাকা উদ্ধারে গঠন বিশেষ দল
সহস্র `গোলাপের` মাঝেও শিবসেনার কাঁটা খেলেন মোদী। কালো টাকা উদ্ধারে গঠন বিশেষ দল
মন্ত্রক নিয়ে অসন্তুষ্ট। তাই পূর্ণ মন্ত্রী হয়েও গতকাল নিজের দফতরের দায়িত্বভার গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন শিবসেনা সাংসদ অন্তত গীতে। সোমবার অন্যান্যদের সঙ্গে মোদী মন্ত্রিসভায় ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন তিনি। তাঁকে দেওয়া হয় ভারী শিল্প মন্ত্রক। অথচ এনডিএর সবচেয়ে পুরনো সহযোগী হওয়ায় শিবসেনার প্রত্যাশা ছিল আরও বেশী। বিশেষ করে এবার তাদের আসন সংখ্যা আঠেরো। বিজেপির সহযোগী দলগুলির মধ্যে সর্বাধিক।
তাই শিবসেনা প্রধান উদ্ধভ ঠাকরের আশা ছিল মোদী মন্ত্রিসভায় কমপক্ষে পাঁচটি মন্ত্রক পাবে তারা। তিনটি পূর্ণমন্ত্রী ও দুটি প্রতিমন্ত্রীর পদ। কিন্তু তার বদলে স্রেফ একটি মন্ত্রক পাওয়ায় হতাশ শিবসেনা প্রধান কথা বলেন বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে। মন্ত্রকের দায়িত্ব না নিলেও সন্ধ্যায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন অনন্ত গীতে। তিনি তাঁর মন্ত্রকের দায়িত্ব নেবেন কিনা,সেব্যাপারে আজ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন শিবসেনা প্রধান।
এদিকে, প্রথম দিনই কালো টাকা উদ্ধারে তত্পর মোদী সরকার। মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিট গঠনের সিদ্ধান্ত। তদন্তকারী দলের দায়িত্বে প্রাক্তন বিচারপতি M B SHAH। দলে থাকছেন সিবিআই, RAW, আইবি, ইডির শীর্ষকর্তারা।
------------------------
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রথম দিনটি কেটে গেল চূড়ান্ত কর্মব্যস্ততায়। কাজ শুরু করেন মহাত্মা গান্ধীর ছবিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এরপর একে একে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা সহ সার্ক গোষ্ঠীভুক্ত দেশের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক সেরে নেন। এদিনই মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে নেওয়া হয় বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।
এরপরই খোঁজ পড়ে খবরের কাগজের।
সকাল সকালই মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে ফোনে কথা সেরে নেন প্রধানমন্ত্রী।
সকাল নটা সাতাশ---
বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতর হায়দরাবাদ হাউসে পৌছে যান নরেন্দ্র মোদী।
সাড়ম্বরে অভ্যর্থনা জানানো হয় নতুন প্রধানমন্ত্রীকে।
মহাত্মা গান্ধীর ছবিতে ফুল দিয়ে এরপর কাজ শুরু করেন মোদী।
হায়দরাবাদ হাউসে আসতে শুরু করেন একের পর এক সার্ক দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। আফগানিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, মালদ্বীপ, মরিশাস সহ একাধিক দেশের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী।
যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে বৈঠক। প্রায় পঞ্চাশ মিনিট কথা হয় দুই প্রধানমন্ত্রীর। এর আগে, দায়িত্ব নেওয়ার পরই বিভিন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রক পুনর্গঠনের কাজ শুরু করে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সতেরোটি মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সাত জন মন্ত্রীকে। বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে অনাবাসী ভারতীয় বিষয়ক মন্ত্রকটিকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। একইভাবে, অর্থমন্ত্রকের সঙ্গে জুড়ে গেছে কোম্পানি বিষয়ক মন্ত্রক।
ভূতল পরিবহণ, জাতীয় সড়ক ও জাহাজ মন্ত্রককে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কয়লা, শক্তি ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি মন্ত্রককে একসঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবাসন ও শহরাঞ্চলের সঙ্গে দারিদ্র দূরীকরণ মন্ত্রক, নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের সঙ্গে মিশে গেছে। গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের অধীনে এসেছে পঞ্চায়েতি রাজ, পানীয় জল ও নিকাশি সংক্রান্ত মন্ত্রক। পর্যটন মন্ত্রকের সঙ্গে জুড়ে গেছে সংস্কৃতি মন্ত্রক।
দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনেই বিকেলে বসে মন্ত্রিসভার বৈঠক। দলীয় ইস্তাহার, নির্বাচনী প্রচারে বলা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিদেশে গচ্ছিত কালো টাকা উদ্ধারে প্রথম পদক্ষেপটি নেওয়া হয়েছে প্রথম দিনেই। গঠন করা হয়েছে সিট।
মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, জিডিপির হার বৃদ্ধি সহ একাধিক বিষয়ে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কাজ ফেলে রাখা যাবে না। এই কথা মন্ত্রিসভার সদস্যদের বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ক্লান্তির কোনও অবকাশ নেই। টিম মোদীর মধ্যে সেই মন্ত্রই প্রথম দিনেই বেধে দিলেন নরেন্দ্র মোদী।