সংবিধান থেকে 'ধর্মনিরপেক্ষ' ও 'সমাজতান্ত্রিক' শব্দ দুটি পাকাপাকি ছেঁটে ফেলার দাবি জানাল শিবসেনা

প্রজাতন্ত্র দিবসে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের বিজ্ঞাপন নিয়ে দেশ জোড়া বিতর্ককে এবার আরও খানিকটা উস্কে দিল শিবসেনা। সংবিধান থেকে পাকাপাকিভাবে 'ধর্মনিরপেক্ষ' ও 'সমাজতান্ত্রিক' শব্দ দুটির পাকাপাকি অপসারণ দাবি করল উদ্ধব ঠাকরের দল।  

Updated By: Jan 28, 2015, 06:38 PM IST
সংবিধান থেকে 'ধর্মনিরপেক্ষ' ও 'সমাজতান্ত্রিক' শব্দ দুটি পাকাপাকি ছেঁটে ফেলার দাবি জানাল শিবসেনা

মুম্বই: প্রজাতন্ত্র দিবসে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের বিজ্ঞাপন নিয়ে দেশ জোড়া বিতর্ককে এবার আরও খানিকটা উস্কে দিল শিবসেনা। সংবিধান থেকে পাকাপাকিভাবে 'ধর্মনিরপেক্ষ' ও 'সমাজতান্ত্রিক' শব্দ দুটির পাকাপাকি অপসারণ দাবি করল উদ্ধব ঠাকরের দল।  

গত ২৬ জানুয়ারি সকালে সংবাদপত্রের পাতায় প্রকাশিত কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের বিজ্ঞাপন দেখে বোধহয় চমকে উঠেছিল গোটা দেশ। এই বিজ্ঞাপন থেকে বাদ পড়েছিল 'ধর্মনিরপেক্ষ' ও 'সমাজতান্ত্রিক' শব্দ দুটো। তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের এই বিজ্ঞাপন ঘিরে তিক্ত বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন দেশের তাবড় তাবড় রাজনৈতিক নেতারা।  

আজ শিবসেনার সাংসদ সঞ্জয় রাউত বলেন ''প্রজাতন্ত্র দিবসের বিজ্ঞাপন থেকে এই শব্দদুটি (সেক্যুলার ও সোশ্যালিস্ট) ছেঁটে ফেলাকে আমরা অভিন্দন জানাচ্ছি। যদিও সম্ভবত সচেতনভাবে এটা করা হয়নি, কিন্তু এর মাধ্যমে দেশের মানুষের অনুভূতিকেই সম্মান দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই পাকাপাকিভাবে এই শব্দ দুটকে সংবিধান থেকে বাদ দেওয়া হক।''

রাউত আরও জানিয়েছেন ''যবে থেকে এই শব্দ দুটিকে সংবিধানে ঠাঁই দেওয়া হয়েছে, তবে থেকেই বহুবার বলা হয়েছে আমাদের দেশ কখনই ধর্মনিরপেক্ষ হতে পারে না। প্রথমে বীর সাভারকর ও পড়ে বালসাহেব ঠাকরে বারবার বলে এসেছেন ধর্মের ভিত্তিতেই এই দেশ ভাগ হয়েছিল। যখন মুসলিমদের জন্য পাকিস্তানের জন্ম হয়েছিল, তখন স্বাভাবিক ভাবেই বাদবাকি অংশটা হিন্দুরাষ্ট্রই হয়।''

তিনি অভিযোগ করেছেন একদিকে যেমন রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য এদেশে সংখ্যালঘুদের ব্যবহার করা হয়েছে, অন্যদিকে লাগাতার অসম্মান করা হয়েছে হিন্দুদের। তাঁর দাবি ধর্মনিরপেক্ষ তকমার আড়ালে পুরোটাই আসলে ভোটবাক্স ভরানোর খেলা।

গতকালই বিতর্কিত বিজ্ঞাপন থেকে 'ধর্মনিরপেক্ষ' ও 'সমাজতান্ত্রিক' শব্দ দুটি বাদ পড়ায় কেন্দ্রীয় সরাকারের তীব্র সমালোচনা করেন কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি। তাঁর দাবি এর মাধ্যমে সরকারের 'সাম্প্রদায়িক' ও 'কর্পোরেট' চরিত্র সামনে চলে এসেছে।

যদিও কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী রাজ্যবর্ধন রাঠোর এই অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবি অ্যামেন্ডমেন্টের আগে সংবিধানের প্রাথমিক প্রস্তাবনার ''আসল'' চিত্রের প্রতি ''সম্মান'' জানানোই এই বিজ্ঞাপনের উদ্দেশ্য ছিল।

তিনি দাবি করেছেন ২০১৪ সালে যখন এই মন্ত্রকের দায়িত্বে মণীশ তিওয়ারি ছিলেন তখনও এই এক ছবিই ব্যবহার করা হয়েছিল।

 

.