মহারাষ্ট্রে মহানাটক! মুম্বইয়ের পাঁচতারা হোটেলে বিরোধী জোটের শক্তি প্রদর্শন, একমঞ্চে শরদ-উদ্ধব-খাড়গে
সবক শেখাব বিজেপিকে, হুঁশিয়ারি পওয়ারের। প্রলোভনে পা না দেওয়ার শপথ বিধায়কদের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: হোটেলেই আস্থা ভোট! রাজ্যপালকে দেখে যাওয়ার ডাক। শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস বিধায়কদের একসঙ্গে সামনে এনে চমক দিলেন শরদ-উদ্ধবরা। দাবি, জোটের সঙ্গে ১৬২ বিধায়ক। হয়ে গেল শপথও। তবে, মাথা গোনা হল না। সবক শেখাব বিজেপিকে, হুঁশিয়ারি পওয়ারের। প্রলোভনে পা না দেওয়ার শপথ বিধায়কদের। হোটেলে হাজির সব বিধায়ক আসল আস্থা ভোটে কোনদিকে যাবেন তাও স্পষ্ট নয়।
#WATCH Mumbai: Shiv Sena-NCP-Congress MLAs assembled at Hotel Hyatt take a pledge, "I swear that under the leadership of Sharad Pawar, Uddhav Thackeray & Sonia Gandhi, I will be honest to my party. I won't get lured by anything. I will not do anything which will benefit BJP". pic.twitter.com/CV8VhOmKl1
— ANI (@ANI) November 25, 2019
সোমবার সকালেই মহারাষ্ট্রের রাজ্যপালের কাছে গিয়ে সরকার গঠনের দাবি জানিয়ে আসে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস। ১৬২ জন বিধায়কের নামের তালিকা জমা দিয়ে তিন দল দাবি করে, সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়করা তাদের দিকেই। দেবেন্দ্র ফড়নবিশ-অজিত পওয়ারদের তুলনায় তাদের শক্তি বেশি। তাই, অবিলম্বে আস্থা ভোট ডাকুন রাজ্যপাল।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আগে রাজভবনের ওপর চাপ বাড়াতে এদিন সন্ধেয় মুম্বইয়ের এক পাঁচতারা হোটেলে নিজেদের শিবিরের বিধায়কদের প্রকাশ্যে হাজির করে শিবসেনা-এনসিপি এবং কংগ্রেস। ছিলেন, শরদ পওয়ার, উদ্ধব ঠাকরে, মল্লিকার্জুন খাড়গেরা। দাবি করা হয়, এনসিপির ৫৪ জন বিধায়কের মধ্যে ৫১ জনই শরদ পওয়ারের সঙ্গে। শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস-সমাজবাদী পার্টি এবং নির্দল মিলিয়ে ১৬২ জন বিধায়ককে হোটেলে হাজির করার দাবি জানানো হয়।
অজিত পওয়ারকে ক্ষমতার টোপ দেওয়া হলেও বিধায়করা তাঁর পাশে নেই বলে দাবি করে তিন দল। এদিকে অজিত পওয়ারের বিরুদ্ধে সেচ দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তবে এক দিনে একসঙ্গে ৯টি মামলা বন্ধ করে দিল সরকার। এরপর প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি বিজেপিকে সমর্থনের পুরস্কার পেলেন অজিত? প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরাও।
অজিত পওয়ারকে এখনও দল থেকে বহিষ্কার করেননি শরদ পওয়ার। এদিন, ফের তাঁর বাড়ি যান এনসিপি নেতা ছগন ভুজওয়াল। সূত্রের খবর, ভাইপোকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে দলে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন শরদ। কারণ পরিষদীয় দলনেতা হিসাবেই রাজ্যপালকে চিঠি দিয়ে বিজেপিকে সমর্থনের কথা জানান অজিত। পরে, অজিতকে পদ থেকে সরান হলেও শরদ পওয়ার এনিয়ে কোনও আইনি জটিলতায় পড়তে চাইছেন না বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন - অজিতকে রেহাই দেওয়ার চেষ্টা? ক্ষমতায় এসেই মহারাষ্ট্রে ৯টি দুর্নীতির মামলা বন্ধ করল বিজেপি সরকার