মন্দির ধ্বংসের প্রতিবাদে থমথমে পঞ্জাব, বন্ধ স্কুল-কলেজ-সরকারি দফতর, কড়া নিরাপত্তা অধিকাংশ শহরে
পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হস্তক্ষেপ করার অনুরোধ করেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং
নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লিতে গুরু রবিদাস মন্দির ভাঙে দেওয়ার প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাজ্যজুড়ে বনধের ডাক দিয়েছে গুরু রবিদাস জয়ন্তী সমারোহ সমিতি। এর জেরে আজ জলন্ধর, গুরদাসপুর, কাপুরথালরয় অধিকাংশ স্কুল, কলেজ, সরকারি অফিস বন্ধ। এনিয়ে চাপা উত্তেজনা রয়েছে রাজ্যে।
আরও পড়ুন-পুজোর পরেই কলকাতায় আসতে পারেন লিওনার্দো দি ক্যাপ্রিয়ো, দাবি নবান্নের
গুরদাসপুরে পুরসভা ও বেসরকারি স্কুলগুলিকে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ দিয়েছেন খোদ ডিসি বিপুল উজ্জল। সোমবারই বনধের কথা জানিয়ে দেওয়া হয় লুধিয়ানার অধিকাংশ স্কুলে। ফলে শহরের গুরু নানক পাবলিক স্কুল, কুন্দন বিহার মন্দির, জেসাস হার্টের মতো স্কুলগুলিতে মঙ্গলবার পঠনপাঠন বন্ধ থাকছে।
মঙ্গলবার ছিল পঞ্জাব স্কুল এডুকেশন বোর্ডের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা। পড়ুয়াদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে সেই পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে রাজ্য প্রশাসনের দাবি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। প্রয়োজনীয় পুলিশি ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে মন্দির ভাঙাকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হস্তক্ষেপ করার অনুরোধ করেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। মন্দির ধ্বংস নিয়ে কোন অমরিন্দর সিংয়ের বক্তব্য, গোটা বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল। প্রধানমন্ত্রীকে তিনি লিখেছেন, পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সরকারের উচিত মন্দিরকে তার পুরনো জায়গায় ফিরিয়ে দেওয়া।
আরও পড়ুন-উত্সবের আনন্দ মুহূর্তেই ম্লান, স্ত্রীকে ছুরি মেরে পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী স্বামী
অন্যদিকে, শিরোমনি অকালি দলের বিধায়ক পবন কুমার টিনু সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, রবিদাস সমাজের পক্ষ থেকে আমরা দিল্লি সরকারকে অনুরোধ করেছিলাম তারা যেন সুপ্রিম কোর্টে এনিয়ে সওয়াল করে। মন্দিরের জমি সংক্রান্ত সব নথি দিল্লি সরকারের কাছে জমা দেওয়া হয়। সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, লোদী সুলতানদের আমলে মন্দিরের জায়গা রবিদাস সমাজকে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের আদেশে দিল্লির তুঘলকাবাদে রবিদাস মন্দির ভেঙে দেওয়া হয়। মন্দিরটি তৈরি হয়েছিল ৫০০ বছর আগে।