হজযাত্রায় ভর্তুকি নয়, রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট
এবার হজযাত্রীদের ভর্তুকি দেওয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির কড়া সমালোচনা করল সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে হজযাত্রীদের ওপর থেকে ভর্তুকি তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্য আদালত। বিচারপতি আলতামাস কবীর এবং বিচারপতি রঞ্জনাপ্রকাশ দেশাইকে নিয়ে ঘঠিত বেঞ্চ আগামী ১০ বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে এই রায় কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রকে ।
এবার হজযাত্রীদের ভর্তুকি দেওয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির কড়া সমালোচনা করল সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে হজযাত্রীদের ওপর থেকে ভর্তুকি তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্য আদালত। বিচারপতি আলতামাস কবীর এবং বিচারপতি রঞ্জনাপ্রকাশ দেশাইকে নিয়ে ঘঠিত বেঞ্চ আগামী ১০ বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে এই রায় কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রকে । একইসঙ্গে হজ যাত্রীদের সঙ্গে সফরে যাওয়া সরকারি প্রতিনিধির সংখ্যা কমানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের তরফে।
এদিন হজযাত্রা সম্পর্কিত বম্বে হাইকোর্টের একটি রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কেন্দ্রের দায়ের করা মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। শুনানির সময় দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানতে চায়, ১০১২ সালে হজযাত্রার জন্য ঠিক কত টাকা ভর্তুকি ধার্য করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও সরকারের তরফে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট উত্তর মেলেনি। হজ যাত্রা শেষ হওয়ার পর হজ কমিটির তরফে এ বিষয়ে তথ্য জানান সম্ভবপর বলে শীর্ষ আদালতকে জানান সরকারি কৌঁসূলি। পাশাপাশি হজ যাত্রীদের ভর্তুকিদানের নীতির পরিবর্তনের কথা জানিয়ে সরকারের তরফে বলা হয়, আগে কোনও ইসলাম ধর্মালম্বী কোনও ব্যক্তি প্রতি ৫ বছর অন্তর একবার হজযাত্রায় সরকারি ভর্তুকির সুযোগ পেতেন। নতুন ব্যবস্থায় জীবনে মাত্র একবারই এই সুযোগ মিলবে। কিন্তু শীর্ষ আদালত ধাপে ধাপে ভর্তুকির পরিমাণ কমিয়ে এক দশকের মধ্যে ভর্তুকি পুরোপুরি বিলোপের নির্দেশ দেয় কেন্দ্রকে। এদিন সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সাংসদরা। ভর্তুকির টাকা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উন্নয়ন খাতে খরচ করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।