তিস্তা শীতলবাদের বিরুদ্ধে মামলায় না সুপ্রিম কোর্টের
গুজরাট দাঙ্গার একের পর এক ঘটনায় মোদী সরকারকে আদালতের কাঠগড়ায় টেনে আনা তিস্তা শীতলবাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা করার উদ্যোগ নিয়েছিল গুজরাট পুলিস। কিন্তু এদিন বিচারপতি আফতাব আলম এবং বিচারপতি রাজেন্দ্রপ্রকাশ দেশাই`কে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ সরাসরি শীর্ষ আদালতের এই উদ্যোগে জল ঢেলেছে।
ফের শীর্ষ আদালতে ধাক্কা খেলেন নরেন্দ্রভাই দামোদরদাস মোদী। গুজরাট সরকারের তরফে সমাজকর্মী তিস্তা শীতলবাদের বিরুদ্ধে ২০০২ সালের গোধরা পরবর্তী দাঙ্গায় নিহত মুসলিমদের দেহ বেআইনি ভাবে কবর খুঁড়ে তোলার অভিযোগ তোলা হয়েছিল। গুজরাট দাঙ্গার একের পর এক মামলায় মোদী সরকারকে আদালতের কাঠগড়ায় টেনে আনা তিস্তা শীতলবাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা করারও উদ্যোগ নিয়েছিল গুজরাট পুলিস। কিন্তু এদিন বিচারপতি আফতাব আলম এবং বিচারপতি রাজেন্দ্রপ্রকাশ দেশাই`কে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ সরাসরি শীর্ষ আদালতের এই উদ্যোগে জল ঢেলেছে। দুই বিচারপতির বেঞ্চ দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়েছে, এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারের অভিযোগ `সর্বৈব মিথ্যা`। সুপ্রিম কোর্টে গুজরাট সরকারের কৌঁসুলি, সিনিয়র অ্যাডভোকেট প্রদীপ ঘোষকে রাজ্য পুলিসের দায়ের এ ব্যাপারে দায়ের করা এফআইআর-এর বিষয়ে না এগোনোরও `পরামর্শ` দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ২৩ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে।
গত বছরের ২৩ মে গুজরাত হাইকোর্ট এক রায়ে সমাজকর্মী তিস্তা শীতলবাদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে কবর খুঁড়ে মৃতদেহ তোলার অভিযোগে দায়ের করা এফআইআর-এর ভিত্তিতে ফৌজদারি মামলা চালানোর অনুমতি দিয়েছিল। গুজরাট পুলিসের অভিযোগ ছিল, ২০০৬ সালে কোনওরকম বিচারবিভাগীয় অনুমতি ছাড়াই পঞ্চমহল জেলার খানপুর তালুকের পান্ডারওয়াধা গ্রামে কয়েকটি কবর খুঁড়েছিলেন তিস্তা। ২০০২ সালের দাঙ্গাপর্বের সময় এখানে ২৮ জন নিহত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের দেহ কবর দেওয়া হয়েছিল। তিস্তা শীতলবাদকে কবর খোঁড়ার কাজে সাহায্য করার অভিযোগে ৫ জন স্থানীয় মুসলিম গ্রামবাসীর বিরুদ্ধেও এফআইআর করে পুলিস। হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন তিস্তা। গত ২৯ জুলাই হাইকোর্টের এই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত সেই স্থগিতাদেশ বজায় রাখার কথা জানিয়েছে দুই বিচারপতির বেঞ্চ।