সমঝোতা এক্সপ্রেস বিস্ফোরণ মামলায় অসীমানন্দ-সহ ৪ অভিযুক্ত বেকসুর খালাস
২০০৭ সালে ১৮ ফেব্রুয়ারি পানিপথ জেলায় সমঝোতা এক্সপ্রেসে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যু হয় ৬৮জনের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সমঝোতা এক্সপ্রেস বিস্ফোরণের ঘটনায় চার অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করে দিল পঞ্চকুলার এনআইএ আদালত। চার অভিযুক্ত অসীমানন্দ, লোকেশ শর্মা, কমল চৌহান ও রাজিন্দর চৌধুীরকে মুক্তি দিল আদালত। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পোক্ত প্রমাণ দিতে পারেনি এএনআই। প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস হলেন তাঁরা।
২০০৭ সালে ১৮ ফেব্রুয়ারি পানিপথ জেলায় সমঝোতা এক্সপ্রেসে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যু হয় ৬৮জনের। হতদের মধ্যে ছিলেন ৩৩জন পুরুষ, ১৯জন মহিলা ও ১৬টি শিশু। ট্রেনটি দিল্লি থেকে যাচ্ছিল পাকিস্তানে। ঘটনাস্থল থেকে দুটি বিস্ফোরকও উদ্ধার করেছিল এনআইএ। চার্জশিটে বলা হয়েছিল, সমঝোতা এক্সপ্রেসে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দেশের ঐক্য, নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বে আঘাত করার জন্য ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। মন্দিরে সন্ত্রাসবাদীদের হামলার বদলা নিতে চেয়েছিল অভিযুক্তরা। রাজেন্দ্র চৌধুরীই বাকি সন্দেহভাজনদের সঙ্গে নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছিল। ১৮ ফেব্রুয়ারি সমঝোতা এক্সপ্রেসে বোমা রেখেছিল তারা।
২০১১ সালে পঞ্চকুলার বিশেষ এএনআই আদালতে চার্জশিট পেশ করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। পাঁচ অভিযুক্তের নাম ছিল ওই চার্জশিটে। তাঁরা হলেন, নবকুমার সরকার ওরফে স্বামী অসীমানন্দ, সুনীল জোশী ওরফে মনোজ জোশী ওরফে গুরুজি, রামচন্দ্র কালসঙ্গরা ওরফে রামজি ওরফে বিষ্ণু পটেল, সন্দীপ ডাঙ্গে ওরফে পরমানন্দ, লোকেশ শর্মা ওরফে কালু। ২০১২ সালে পেশ করা হয়েছিল সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট। ওই চার্জশিটে অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ ছিল আরও দুই অভিযুক্ত কমল চৌহান ওরফে বদ্রীনারায়ণ ওরফে বিজয় ও অমিত ওরফে অশোক ওরফে প্রিন্স।
আরও পড়ুন- রাহুলের 'চৌকিদার চোর হ্যায়' কটাক্ষকে হাতিয়ার করে স্ট্রাইক মোদীর