Uttarkashi Tunnel Collapse: শেষ ধাপে উত্তরকাশীর টানেলে আটক শ্রমিকদের উদ্ধারকাজ, আর মাত্র কয়েক মিটার
Uttarkashi Tunnel Collapse: জেজিলা টানেল প্রজেক্টের প্রধান জানিয়েছেন সামেন খুব কম ধ্বংসস্তূপ থাকলেও সেখানে কিছু স্টিলের রড বেরিয়ে পড়েছে। ফলে সেগুলি কেটে রাস্তা করাই এখন প্রধান কাজ। ৪৪ মিটার পাইপ ঢোকানো হয়েছে। সামনে মাত্র ১২ মিটার বাকী রয়েছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আর কয়েক ঘণ্টার মধ্য়েই উত্তরকাশীর ভেঙেপড়া টানেলের অন্ধকূপ থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন ৪১ শ্রমিক। বৃহস্পতিবার সকালে ফের উদ্ধারকারী এনডিআরএফ টিম টানেলের ভেতরে প্রবেশ করেছে। গতকাল রাতে ধসের কারণে উদ্ধারের কাজ বন্ধ রাখা হয়। সেইসময় আটকেপড়া শ্রমিকদের থেকে মাত্র ১২ মিটার দূরে ছিল উদ্ধারকারী দল। আজ সকালে ফের কাজ শুরু হয়েছে। জোজিলা টানেলের প্রজেক্ট হেড হরপাল সিং সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছিলেন, সামনে থাকা ধস তারা খুব তাড়াতাড়ি সরিয়ে ফেলবেন। গ্য়াস কাটার দিয়ে রড কেটে রাস্তা করা হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সকাল ৮টা নাগাদ উদ্ধারকাজ শেষ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন- বিধানসভা ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ৫ বিচারপতির বেঞ্চ গঠন হাইকোর্টের...
উল্লেখ্য, গত ১২ নভেম্বর ধস নেমে টানেলের মধ্যে আটকে পড়েন ৪১ শ্রমিক। ওইসব শ্রমিকদের মধ্যে রয়েছেন বাংলার ৩ শ্রমিক। ধসের পর থেকেই শুরু হয়েছে উদ্ধারের লড়াই। আনা হয়েছে বিদেশি যন্ত্রপাতি ও বিশেষজ্ঞদের। ইতিমধ্যেই ৪৪ মিটার লম্বা একটি পাইপ ধ্বংসস্তূপের মধ্যে ঢুকিয়ে শ্রমিকদের খাবার ওষুধ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ক্যামেরা লাগিয়ে তাদের সঙ্গে কথাও বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে এনডিআরএফের ২১ জনের একটি টিম অক্সিজেন সিলিন্ডার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি নিয়ে টানেলে প্রবেশ করেছে।
#WATCH | Uttarkashi (Uttarakhand) tunnel rescue | Harpal Singh, one of the rescue team members says, "...NDRF is quite confident, they will cut the steal and machine (gas cutter) will work...I feel that approximately by 8 am in the morning, the entire rescue operation will be… pic.twitter.com/xQEToB7KBq
— ANI (@ANI) November 22, 2023
জেজিলা টানেল প্রজেক্টের প্রধান জানিয়েছেন সামেন খুব কম ধ্বংসস্তূপ থাকলেও সেখানে কিছু স্টিলের রড বেরিয়ে পড়েছে। ফলে সেগুলি কেটে রাস্তা করাই এখন প্রধান কাজ। ৪৪ মিটার পাইপ ঢোকানো হয়েছে। সামনে মাত্র ১২ মিটার বাকী রয়েছে।
এদিকে, আটকে থাকা শ্রমিকদের জন্য ৪১ বেডের একটি হাসপাতাল তৈরি রাখা হয়েছে। টানেলের বাইরে অপেক্ষা করছে অ্য়াম্ব্যুল্য়ান্স ও মেডিক্যাল টিম। টানা ১২ দিন টানেলে আটকে রয়েছেন শ্রমিকরা। ভেতরের তাপমাত্রা ও টানা বন্দিদশায় তাদের অনেক রকম সমস্যা দেখা গিতে পারে। সেকথা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী হাসপাতাল। শ্রমিকদের কাছে পাইপ পৌঁছে গেলে সেই পাইপ ধরেই বেরিয়ে আসবেন শ্রমিকরা। তার আগে এনডিআএফের মেডিক্যাল টিম শ্রমিকদের দেখিয়ে দেবেন কীভাবে বেরিয়ে আসতে হবে। সৌভাগ্যের বিষয় হল যে জায়গায় শ্রমিকরা আটকে রয়েছে সেটি সাড়ে আট মিটার উঁচু ও ২ কিলোমিটার লম্বা। ফলে অক্সিজেনের সমস্যা খুব বেশি হচ্ছে না।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)