কংগ্রেস মুখপাত্র বাছাই পরীক্ষায় 'টোকাটুকি'
এমন পরীক্ষার আয়োজন যে হয়েছে তা না কি জানতেন না অনেক প্রার্থীই। আর সেজন্যই না কি পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন খুলে 'অসদুপায়' অবলম্বন করেছিলেন তাঁরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: শব্দ হল ব্রহ্ম। আর সেই শব্দ যদি কথা হয়, তাহলে তো আর কথাই নেই। কথায় বলে, কথাই না কি সব, ভাঙা-গড়া সবই তার হাতে। তার উপরে এই গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে কথার 'দায়িত্ব' অপরিসীম। ফলে, কংগ্রেসের মুখপাত্র হওয়া তো আর মুখের কথা নয়। তাই রীতিমতো প্রশ্নপত্র তৈরি করে বৃহস্পতিবার পরীক্ষার আয়োজন করেছিল উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস কমিটি। আর পরীক্ষা শেষ হতেই সেই প্রশ্নপত্রই ভেসে বেড়াল সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং পরীক্ষার হলে নকল করার অভিযোগও উঠল একাধিক প্রার্থীর বিরুদ্ধে।
কংগ্রেস মুখপাত্র হওয়ার লিখিত পরীক্ষায় মোট ১৪টি প্রশ্ন করা হয়েছিল। পরীক্ষায় বসেছিলেন ৭০ জন মুখপাত্র পদপ্রার্থী। তবে জানা যাচ্ছে, এমন পরীক্ষার আয়োজন যে হয়েছে তা না কি জানতেন না অনেক প্রার্থীই। আর সেজন্যই না কি পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন খুলে 'অসদুপায়' অবলম্বন করেছিলেন তাঁরা।
কী কী প্রশ্ন এসেছিল পরীক্ষায়?
জানা যাচ্ছে, রাজ্যের যোগী সরকারকে কোণঠাসা করার জন্য প্রার্থীরা কতটা প্রস্তুত এবং রাজ্যের রাজনৈতিক মানচিত্রের বিষয়ে তাঁরা কতটা ওয়াকিবহাল সেটি যাচ্ছাই করতে চেয়েছিল উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস কমিটি। আর সে জন্যই প্রশ্নপত্রে ছিল- "যোগী সরকারের ব্যর্থতার দিকগুলি কী কী" বা "রাজ্যে মোট কতগুলি ব্লক রয়েছে"-র মতো প্রশ্ন। এছাড়া মনমোহন সিং সরকারের সাফল্যের বিষয়ে এবং দৈনিক কাগজের রাজনৈতিক ইস্যুগুলির প্রসঙ্গেও প্রশ্ন করা হয়েছিল। সবশেষে একেবারে পেশাদারি ঢঙে জানতে চাওয়া হয়েছিল, প্রার্থীরা কেন মুখপাত্র হতে চান, সেই প্রশ্নও।
উল্লেখ্য, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসে ব্যাপক রদবদলের সম্ভবনার কথা শোনা যাচ্ছে। আর এই পরীক্ষা নিয়ে পেশাদারি ঢঙে নিয়োগও না কি সেই প্রক্রিয়ারই সূচনা পর্ব। কিছুদিন আগে, মধ্যপ্রদেশেও 'ট্যালেন্ট হান্টে'র মাধ্যমে মুখপাত্র নিয়োগের কর্মসূচি নিয়েছিল সে রাজ্যের কংগ্রেস কমিটি। কতকটা সেই কায়দাতেই উত্তরপ্রদেশেও এই আয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে। এখন দেখার, 'যোগ্য' মুখের কথা কংগ্রেসের ভাগ্যে বদল আনতে পারে কি না! আরও পড়ুন- সময়ের দু'সপ্তাহ আগেই গোটা দেশে ঢুকে পড়ল বর্ষা