রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রী কে? ঠিক করার ভার রাহুল গান্ধীর ওপরেই ছাড়লেন নেতারা
মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে কংগ্রেসের মধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে দ্বন্দ্ব। বুধবার সকাল থেকেই অশোক গেহেলত ও শচিন পাইলটের সমর্থকরা জয়পুরে কংগ্রেস সদর দফতরের সামনে স্লোগান দিতে থাকেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে কংগ্রেসে। সেরাজ্যে ৯৯ আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে ১ আসন দূরে থেমেছে তারা। গণনার পরদিন বুধবার সকালেই কংগ্রেসকে সমর্থন ঘোষণা করেছেন বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী। রাজস্থানে ৬টি আসনে জিতেছে তার দল। ফলে সব মিলিয়ে ২০০ আসনের রাজস্থান বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা জোগাড় করে ফেলেছে রাহুল গান্ধীর দল।
রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করতে বুধবার জয়পুরে কংগ্রেসের সদর দফতরে পৌঁছন কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থীরা। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বাছাই করার দায়িত্ব রাহুল গান্ধীর ওপর ছেড়েছেন জয়ী কংগ্রেসি প্রার্থীরা। জয়ী প্রার্থীদের অনুরোধ, এই নিয়ে সিদ্ধান্ত হাইকম্যান্ডকেই নিতে হবে।
সূত্রের খবর, বুধবার দুপুরে ফের একবার জয়ী কংগ্রেসি প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে হাইকম্যান্ড। সেই বৈঠকেই কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সন্ধে ৭টায় বিধায়ক দলের নেতা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে পারেন।
বিজেপিকে ঠেকাতে মধ্যপ্রদেশ-রাজস্থানে কিংমেকার মায়াবতী, সরকার গঠনের পথে কংগ্রেস
ওদিকে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে কংগ্রেসের মধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে দ্বন্দ্ব। বুধবার সকাল থেকেই অশোক গেহেলত ও শচিন পাইলটের সমর্থকরা জয়পুরে কংগ্রেস সদর দফতরের সামনে স্লোগান দিতে থাকেন।
মায়াবতীকে স্বাগত জানালেন শচিন পাইলট
এদিন মায়াবতী কংগ্রেসকে সমর্থন ঘোষণার পর তাঁকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন রাজস্থানের কংগ্রেস নেতা শচিন পাইলট। তিনি বলেন, 'মায়াবতীজি সঙ্গে আসতে চাইলে তাঁকে স্বাগত। রাহুল গান্ধী এব্যাপারে আগেই সম্মতি জানিয়েছিলেন। সবাই মিলে রাজস্থানকে আরও উন্নত রাজ্য হিসাবে গড়ে তুলব।' তিনি বলেন, 'কংগ্রেস তার সমস্ত নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে। কৃষক ও যুবাদের ওপর বিশেষ জোর দেবে কংগ্রেস সরকার। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পূরণ করা হবে প্রতিশ্রুতি।'
নিজেকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে স্বীকার করলেও শচিন পাইলট বলেন, 'চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন রাহুল গান্ধী। এই জয় আমাদের জন্য উত্সাহবর্ধক। ২১টি আসন থেকে লড়াই করে আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পৌঁছেছি। সাধারণ মানুষের আস্থা ও কর্মীদের পরিশ্রমের ফলে এই সাফল্য মিলেছে।'