কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না; ব্যাখ্যা দিল রেল
দুর্ঘটনায় মৃত ১৩ বছরের এক বালকের পরিবার রেলের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে জলান্ধর-অমৃতসর হাইওয়ে বিক্ষোভ দেখায়। কিন্তু রেল জানিয়েছে, দুটি লাইনের মাঝে এক ফালি জায়গায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যার জন্য কোনও অনুমতি নেননি উদ্যোক্তরা
নিজস্ব প্রতিবেদন: রেলের তরফে কোনও ত্রুটি নেই। তাই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। সাফ জানিয়ে দিলেন রেল প্রতিমন্ত্রী মনোজ সিনহা। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, রেলের তরফে কোনও তদন্ত করারও প্রয়োজন নেই।
শুক্রবার রাত ৭টা নাগাদ অমৃতসরের ধোবি ঘাট এলাকায় পালিত হচ্ছিল দশেরা। সেখানে রাবণ পোড়ানোর সময় লাইনের উপর দাঁড়িয়ে ছিলেন প্রচুর মানুষ। সে সময়ই ডিএমইউ জলান্ধর-অমৃতসর প্যাসেঞ্জারের ধাক্কায় কমপক্ষে মৃত্যু হয় ৬০ জনের। আহতের সংখ্যা অনেক। যদিও এই ঘটনায় চালকের কোনও গাফিলতি দেখতে পাচ্ছেন না রেলের কর্তারা। রেল প্রতিমন্ত্রী মনোজ সিনহার দাবি, ট্রেনের গতি একটা নির্দিষ্ট সীমায় বাঁধা ছিল। ঘটনাস্থলে রেল লাইনে বাঁক থাকায় এবং অন্ধকারেরর জন্য আগাম বিপদ বুঝতে পারেননি চালক। রেল কর্তৃপক্ষ সাফাই দেয়, জরুরীকালীন ব্রেক কষলেও কোনও সুবিধা হত না। উল্টে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।
আরও পড়ুন- ‘তু-তু ম্যায়-ম্যায় করার সময় নয় এখন’, ম্যাজিস্ট্রেট তদন্তের নির্দেশ দিলেন অমরিন্দর সিং
দুর্ঘটনায় মৃত ১৩ বছরের এক বালকের পরিবার রেলের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে জলান্ধর-অমৃতসর হাইওয়ে বিক্ষোভ দেখায়। কিন্তু রেল জানিয়েছে, দুটি লাইনের মাঝে এক ফালি জায়গায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যার জন্য কোনও অনুমতি নেননি উদ্যোক্তরা। রেলের চেয়ারম্যান অশ্বীনি লোহানি জানান, এভাবে রেল লাইনে বসে থাকা উচিত হয়নি। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে অমৃতসর এবং মানাওয়ালা স্টেশনের মাঝামাঝি জায়গায়। মধ্যবর্তী জায়গায় ট্রেনের যতটা গতি রাখা হয়, সেই গতিতেই ট্রেনটি চলছিল।এমন জায়গায় রেলের কোনও কর্মী নিযুক্ত থাকে না। লেভেল-ক্রসিংয়ে একমাত্র দেখভাল করে রেলের কর্মী।
#Punjab: Family of 13-year-old boy who died in #AmritsarTrainAccident yesterday, protests with his body at Amritsar-Jalandhar highway, demands compensation pic.twitter.com/PiyiSdakzy
— ANI (@ANI) October 20, 2018
আরও পড়ুন- অন্য ট্রেনের চালকরা সাবধান হলেও গতি কমাননি ঘাতক ট্রেনের চালক, অভিযোগ স্থানীয়ের
রেলের গাফলতির অভিযোগ উড়িয়ে অশ্বীনি লোহানি জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে ৪০০ মিটার দূরে নিকটবর্তী রেল ক্রসিং। ট্রেনের চালক জরুরীকালীন ব্রেক কষলে আরও ভয়াবহ দুর্ঘটনা হতে পারত। অশ্বীনি দাবি করেছেন, ঘটনার সময় চালক ব্রেক কষে ট্রেনের গতি অনেকটাই কম করার চেষ্টা করেছিলেন।রেল ঘটনার দায় ওড়ালেও মানতে রাজি নন স্থানীয়রা। তাঁরা জানাচ্ছেন, ২০ বছর ধরে জোড়া ফটক এলাকায় রাবণ দহন হচ্ছে।