চার রাজ্যে কংগ্রেসের ভরাডুবি, চ্যালেঞ্জের মুখে সোনিয়া পুত্রের নেতৃত্ব
চার রাজ্যে ভরাডুবির পর চ্যালেঞ্জের মুখে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্ব। এবারে কি তবে রাহুলের ক্ষমতা ছেঁটে নিজেই দলের হাল ধরবেন সোনিয়া গান্ধী? দলের তরফে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করার ইঙ্গিত রবিবারই দিয়েছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী। শুরু হয়ে গিয়েছে জল্পনাও। তবে কি নতুন কোনও মুখকে সামনে রেখে লোকসভা ভোটের ময়দানে নামছে কংগ্রেস?
চার রাজ্যে ভরাডুবির পর চ্যালেঞ্জের মুখে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্ব। এবারে কি তবে রাহুলের ক্ষমতা ছেঁটে নিজেই দলের হাল ধরবেন সোনিয়া গান্ধী? দলের তরফে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করার ইঙ্গিত রবিবারই দিয়েছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী। শুরু হয়ে গিয়েছে জল্পনাও। তবে কি নতুন কোনও মুখকে সামনে রেখে লোকসভা ভোটের ময়দানে নামছে কংগ্রেস?
মানুষ যে মুখ ফিরিয়েছে, চার রাজ্যে ভরাডুবির পর তা স্বীকার করেছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী।
দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ফলের জন্য দলীয় সংগঠনের দিকে আঙুল তুলেছেন শীলা দীক্ষিত।
সংগঠন আর নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে পর্যালোচনায় বার বারই আঙুল উঠে আসছে কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গান্ধী দিকে। কারণ, প্রার্থী বাছাই থেকে শুরু করে প্রচার কৌশল, এবারের ভোটে সব দায়িত্বই ছিল রাহুলের নিজেরই হাতে।
ভোটে কতটা প্রভাব ফেলেছে রাহুলের প্রচার? উঠে আসছে তাঁর চুলচেরা বিশ্লেষণও।
যেমন, মধ্য প্রদেশে ভোটের আগে অন্তত ছটি জনসভা করেছিলেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু সেই প্রচারের পর দেখা যাচ্ছে অনেক জায়গাতেই পুরনো আসনও ধরে রাখতে পারেনি কংগ্রেস। গোয়ালিয়রে ২০০৮-এ জেতা তিনটি আসনের মধ্যে এবারে কংগ্রেস পেয়েছে দুটি। শাহদোলে আগেরবারে তিনটি আসনের মধ্যে মাত্র একটিতে জিতেছে কংগ্রেস। ধর জেলায় আগেরবারে পাঁচটি আসনের মধ্যে এবারে মাত্র দুটি আসন কংগ্রেস নিজেদের দখলে রাখতে পেরেছে।
রাহুল গান্ধীর নেতৃত্ব নিয়ে এই যাবতীয় প্রশ্নের মাঝেই সোমবার দিল্লিতে শীর্ষ নেতাদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন সোনিয়া গান্ধী। রাজনৈতিক মহলের মতে, সাধারণ নির্বাচনের আগে দলের এই ভরাডুবির পর এবারে নেতৃত্বে বদল নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। তাঁদের মত আপাতত দুটি পথই খোলা রয়েছে কংগ্রেসের সামনে। রাহুলের ক্ষমতা ছেঁটে সোনিয়া গান্ধী নিজেই দলের হাল ধরতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যের কারণে দেশজুড়ে ভোট-প্রচারের কাজ তিনি কতটা করতে পারবেন তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এখানেই উঠে আসছে প্রিয়ঙ্কার গান্ধীকে সামনে নিয়ে আসার সম্ভাবনার কথা। গান্ধী পরিবারের একমাত্র প্রিয়ঙ্কাকে সামনে রেখেই দল ফের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালাতে পারে বলে মনে করছেন কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ। তবে সে ক্ষেত্রে রাহুলের নেতৃত্বের ব্যর্থতা সরাসরি স্বীকার করে নিতে হয় কংগ্রেস হাইকম্যান্ডকে।