গুজরাট বিক্রি হয়নি কোনওদিন, হবেও না : রাহুল গান্ধী
নিজেস্ব প্রতিবেদন : বিজেপিতে যোগ দিতে কোটি টাকার 'অফার' ফেরানোর কথা ঘোষণা করে ইতিমধ্যেই গুজরাট রাজনীতিতে হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন পতিদার আন্দোলন সমিতির নেতা নরেন্দ্র প্যাটেল। আর 'বিজেপির এই কেনাবেচার রাজনীতিকে' এবার সেরাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে কাজে লাগাতে চাইছে রাহুলের কংগ্রেস। সাংবাদিক বৈঠক করে নরেন্দ্র প্যাটেল এই অফারের কথা জানানোর পরই সোশাল মিডিয়াতে ঝড় তোলেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী। টুইটারে বিজেপিকে আক্রমণ করার পাশাপাশি রাহুল লেখেন, ''গুজরাট পণ্য নয়। গুজরাটকে কোনও দিন কেনা যায়নি। আগামী দিনেও যাবে না।''
আরও পড়ুন- 'মোদীর দলের কোটি টাকার অফার' ফিরিয়ে বিস্ফোরক হার্দিক অনুগামী নরেন্দ্র
গুজরাট কংগ্রেসের নভসর্জন জনসন্দেশ মহাসম্মেলনে যোগ দিতে সোমবারই গান্ধীনগর পৌঁছেছেন রাহুল। সেখানে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি পতিদার আন্দোলন সমিতির নেতা হার্দিক প্যাটেলের সঙ্গেও দেখা করবেন তিনি।
উল্লেখ্য, ডিসেম্বরেই হিমাচল প্রদেশের সঙ্গে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা জানিয়েছে দিল্লির নির্বাচন সদন। তবে হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে গেলেও, ঘোষিত হয়নি গুজরাটের দিন। বিরোধীদের দাবি, কমিশনের ওপর চাপ প্রয়োগ করে গুজরাটে নির্বাচনের দিন ঘোষণা আটকে রেখেছে মোদী সরকার। তাঁদের আরও দাবি, দিন ঘোষণা না হওয়ার সুযোগ নিয়েই নাকি একের পর এক সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন সেরে গুজরাটিদের মন জয়ের চেষ্টা করছে মোদী প্রশাসন।
আরও পড়ুন- গুজরাটের উন্নয়নকে পঙ্গু করে দিতে চেয়েছিল ইউপিএ : নরেন্দ্র মোদী
রবিবার গুজরাটের ভাবনগরের ঘোঘা ও বারুচ জেলার দহেজের মধ্যে রো রো ফেরি পরিষেবার সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১২ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মোদী। ৬১৫ কোটি টাকা ব্যায়ে তৈরি এই ফেরি পরিষেবার প্রথম ধাপ উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন এই প্রকল্প গুজরাটবাসীদের জন্য উপহার। পরে সংশ্লিষ্ট এলাকায় একটি জনসভাও করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই মঞ্চ থেকে কংগ্রেসকে সরাসরি আক্রমণ করেন মোদী জানান, কেন্দ্র ক্ষমতায় থাকাকালীন কংগ্রেস সরকার গুজরাটের উন্নয়নের জন্য ধারাবাহিকভাবে উদাসীন ছিল। ওই মঞ্চে দাঁড়িয়েই দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তাঁর দুই পূর্বসূরি রাজীব গান্ধী ও মনমোহন সিং-এর কণ্ঠস্বর নকল করে বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে তাঁরা কীভাবে গুজরাটের দাবিদাওয়া মঞ্জুর করার পরিবর্তে এড়িয়ে গিয়েছেন।