২০১১-র মতো কাণ্ড করতে পারেন রাহুল গান্ধী! হাথরস ঘিরে রেখেছে পুলিস, চলছে নাকা চেকিং

রাহুল গান্ধী হুমকি দিয়ে রেখেছেন, তিনি এত সহজে হার মানছেন না।

Edited By: সুমন মজুমদার | Updated By: Oct 3, 2020, 10:17 AM IST
২০১১-র মতো কাণ্ড করতে পারেন রাহুল গান্ধী! হাথরস ঘিরে রেখেছে পুলিস, চলছে নাকা চেকিং

নিজস্ব প্রতিবেদন- হাথরসে কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না উত্তরপ্রদেশের পুলিস। মিডিয়া থেকে শুরু করে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, কাউকেই হাথরসে নির্যাতিতার বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছতে দিচ্ছে না যোগীর পুলিস। বৃহস্পতিবার হাথরাসে নির্যাতিতার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেছিলেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু পুলিস কংগ্রেসের মিছিল আটকে দেয় যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে। তারপর কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে পুলিসের বচসা শুরু হয়। কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীকে মাটিতে ফেলে দেয় পুলিস। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। একইসঙ্গে কংগ্রেসের আরেক নেত্রী অমৃতা ধাওয়ানের জামা কাপড় ছিঁড়ে দেয় পুলি। সেই ছবি, ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। তবে এরই মধ্যে রাহুল গান্ধী হুমকি দিয়ে রেখেছেন, তিনি এত সহজে হার মানছেন না।

২০১১ সালে কৃষক আন্দোলনে সমর্থন যোগাতে পারসোলে মোটরসাইকেলে পৌঁছে গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। পুলিস-প্রশাসন নাকা চেকিং করা সত্ত্বেও রাহুল গান্ধী মোটরসাইকেলে চেপে কৃষক আন্দোলনে সমর্থন যোগাতে পৌঁছে যান। তাঁকে আটকাতে পারেনি পুলি। এবারও রাহুল মোটরসাইকেলে চেপে লুকিয়ে হাথরসে নির্যাতিতার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করতে যেতে পারেন বলে আন্দাজ করছে পুলিস। আর তাই গ্রামের চারপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দ্বিগুণ করা হয়েছে। মাছি গলার উপায় নেই। নয়ডা, দিল্লি সীমান্তে পুলিসের বিশাল বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় চলছে চেকিং। হাথরস পৌঁছানোর প্রতিটি রাস্তায় নাকা চেকিং বসেছে।

আরও পড়ুন-  যোগীর হুঙ্কারের কয়েক ঘণ্টা পরই হাথরসকাণ্ডে সাসপেন্ড পুলিস সুপার-সহ ৪

এরই মধ্যে রাহুল গান্ধী টুইট করে লিখেছেন, ''হাথরসে নির্যাতিতার সঙ্গে যা হয়েছে এবং উত্তরপ্রদেশে পুলিসের এই দুরাচার আমি মেনে নিতে পারছি না। আমার মনে হয়, দেশের একজন মানুষেরও এই অনাচার মেনে নেওয়া উচিত নয়।'' এদিকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী লিখেছেন, ''উত্তরপ্রদেশের সরকার ভ্রষ্টাচারে এক নম্বর। নির্যাতিতা সময়মতো চিকিৎসা পেল না। সময়মতো অভিযোগ দায়ের করা হল না। মৃতদেহ জোরজবরদস্তি পুড়িয়ে দেওয়া হল। পরিবারের লোকজনকে বন্দী করে রাখা হয়েছে। বয়ান বদলের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এমন ব্যবহার দেশবাসী মঞ্জুর করবে না।''

.