ধসের নিচে তিন দিন জীবন্ত শুয়ে ছিল মা ও তিন মাসের ছোট্ট শিশু

ধ্বংসস্তুপের মধ্যে থেকে আসছিল কান্নার আওয়াজ। তাই শুনে ছুটে যান উদ্ধারকারী দলের কর্মীরা। গিয়ে দেখেন, মায়ের পাশে শুয়ে রয়েছে শিশু। একটুও সময় নষ্ট না করে শুরু হয় মাটি খোঁড়া। উদ্ধার হয় তিন মাসের শিশুপুত্র রুদ্র ও তার মা। শরীরে আঘাত লাগলেও আপাতত তারা দুজনেই সুস্থ্য। জানিয়েছেন চিকিত্‍সকরা।

Updated By: Aug 2, 2014, 08:21 AM IST
ধসের নিচে তিন দিন জীবন্ত শুয়ে ছিল মা ও তিন মাসের ছোট্ট শিশু

পুণে: ধ্বংসস্তুপের মধ্যে থেকে আসছিল কান্নার আওয়াজ। তাই শুনে ছুটে যান উদ্ধারকারী দলের কর্মীরা। গিয়ে দেখেন, মায়ের পাশে শুয়ে রয়েছে শিশু। একটুও সময় নষ্ট না করে শুরু হয় মাটি খোঁড়া। উদ্ধার হয় তিন মাসের শিশুপুত্র রুদ্র ও তার মা। শরীরে আঘাত লাগলেও আপাতত তারা দুজনেই সুস্থ্য। জানিয়েছেন চিকিত্‍সকরা।

পুনের অ্যাম্বিগাঁওয়ের মালিন গ্রামে বুধবার সকাল থেকেই চলছিল প্রবল বৃষ্টি। সকাল আটটা নাগাদ গ্রাম লাগোয়া পাহাড়ে ধস নামে। নিমেষে  ধূলিসাত্‍ হয় গ্রামের বহু বাড়ি।  কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়েন শতাধিক মানুষ। উদ্ধারকাজে নামানো হয় ন্যাশনাল রেসপন্স ফোর্সকে ।   বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করাও সম্ভব হয়। যারমধ্যে অন্যতম, তিন মাসের শিশু পুত্র রুদ্র। ঘটনার সময় সে মায়ের পাশে ঘুমোচ্ছিল। ধ্বসে তলিয়ে যায় তাদের টিনের বাড়ি। বুধবার দিনভর কাটে মাটির নিচে...খাবার ও পানীয় জল ছাড়া। বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলের কাছেই উদ্ধারকাজ চলছিল। উদ্ধারকর্মীদের কানে আসে কান্না। কাছে গিয়ে দেখেন, মাটি তলায় চাপা পড়ে আছে একটি শিশু। উদ্ধারকাজ শুরু হতে দেখা যায় যে শুধু শিশু নয়।। আটকে রয়েছে তার মা-ও। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় উদ্ধার করা হয় মা ও শিশুকে। দুজনেই এখন হাসপাতালে ভর্তি। এখন সুস্থ্য।

এদিকে ভূমিধ্বসে মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। শুক্রবার রাত পর্যন্ত ধ্বংসস্তুপ থেকে আরও সাতাশটি দেহ উদ্ধার হয়েছে। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল আটষট্টি। শতাধিক মানুষ এখনও চাপা পড়ে বলে আশঙ্কা উদ্ধারকারী দলের।

 

.