কোথায় কীভাবে হামলা? ছক কষতেই গত মাসে ১৫ জঙ্গিকে নিয়ে ভারতে ঢোকে ‘মূলচক্রী’ কামরান
পুলওয়ামা হামলার একটি প্রধান দিক হল আত্মঘাতী গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ। এ জিনিস গত তিন দশকে উপত্যকায় শিকড় চালাতে পারেনি
নিজস্ব প্রতিবেদন: পুলওয়ামা হামলায় আত্মঘাতী জঙ্গি আদিল আহমেদ দারকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল আফগান নাগরিক রশিদ গাজি। তবে সিআরপিএফের ওপরে হামলার মূলচক্রী পাক নাগরিক কামরান। এমনটাই মনে করা হচ্ছে। এর থেকেও গুরুত্বপূর্ণ খবর হল গত মাসে পুঞ্চ সেক্টর দিয়ে ভারতে ঢুকেছিল কামরান। তার সঙ্গে ছিল বিপুল বিস্ফোরক ও ১৫ জঙ্গি। গোয়েন্দা সূত্রে এমনটাই দাবি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-''কাশ্মীর আমাদেরই'', পাকিস্তান হাই কমিশনের সামনে প্রবাসী ভারতীয়দের হুঙ্কার
গোয়েন্দা সূত্রে সংবাদমাধ্যমের খবর কামরান এসে ঘাঁটি গাড়ে দক্ষিণ কাশ্মীরে। পাশাপাশি দুমাস আগে ভারতে ঢোকে রশিদ গাজি। ২৮ বছরে রশিদ আফগান যুদ্ধে লড়াই করেছিল। সে প্রশিক্ষণ নিয়েছে পাকিস্তানি সেনার স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপের কাছে। এরাই সাধারণত পাক জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেয় ও তাদের ভারতে ঢুকতে সাহায্য করে।
ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর অপারেশনে দক্ষিণ কাশ্মীরেই নিহত হয় মাসুদ আজহারের ভাগ্নে তালহা ও ভাই ইব্রাহিমের ছেলে ওসামা। ফলে নাশকতার জন্য জইশ দক্ষিণ কাশ্মীরকেই বেছে নিয়েছিল। এমনটাই মনে করছেন গোয়েন্দারা। শুধু তাই নয়, দক্ষিণ কাশ্মীরের এক যুবককে পুলওয়ামা হামলায় আত্মাঘাতী জঙ্গি বানিয়ে জইশ দেখিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করল তারা এলাকার তরুণদেরও নিয়োগ করতে পারে।
আরও পড়ুন-'পাকিস্তান মুর্দাবাদ' স্লোগানে মুখর, ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে রেল অবরোধ অশোকনগরে
পুলওয়ামা হামলার একটি প্রধান দিক হল আত্মঘাতী গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ। এ জিনিস গত তিন দশকে উপত্যকায় শিকড় চালাতে পারেনি। একইসঙ্গে এলাকার যুবককে আত্মঘাতী হামলায় উদ্বুদ্ধ করাও জইশের এক প্রকার সাফল্য বলে মনে করছে কোনও কোনও মহল।