থ্রি ইডিয়টস ছবিতে আমির খান যেটা করেছিলেন, সেটাই বাস্তবে করেন সোনাম ওয়াংচুক
ওয়েব ডেস্ক: ইউনিভার্সিটি অফ ফেলিয়র্স। লাদাখে আজ এই নামেই পরিচিত সোনাম ওয়াংচুকের স্কুল। সেখানে লেখাপড়া মানে শুধুই পুঁথিগত বিদ্যা নয়। সেখানে শিক্ষা মানে বাস্তবকে চেনা। আসলে এমনটাই আমরা দেখেছিলাম ফুংসুক ওয়াংড়ুর স্কুলে। ওটা ছিল রিল আর সোনাম হলেন রিয়েল।ডাক্তার কিম্বা ইঞ্জিনিয়ার তো অনেকেই হন। কিন্তু সত্যিকারের মানুষ? পেশাগত সাফল্য এলে যে কোনও ব্যক্তি প্রকৃত মানুষ হবেন. তেমনটা মনে করার কোনও কারণ নেই। সেটাই যেন চোখে আঙুল দিয়ে থ্রি ইডিয়টস ছবিতে দেখিয়েছিলেন Rancho অরফে ফুংসসুক ওয়াংড়ু ওরফে আমির খান। সিনেমায় আমির খান যেটা করেছিলেন, সেটাই বাস্তবে করেন সোনাম ওয়াংচুক। লাস্ট বেঞ্চারদের ফার্স্ট বেঞ্চার করার চেষ্টা করেন। তবে অন্য ভাবে। কারণ তিনি প্রথাগত শিক্ষায় বিশ্বাসী নন।
আরও পড়ুন জানুন, জম্মু কাশ্মীরে ৪ দিনের সফরে গিয়ে কী বললেন রাজনাথ সিং
বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর তাঁর আস্থা নেই, তেমনটা কিন্তু নয়। তবে অভিযোগও বিস্তর। সিংহভাগটাই অভিভাবকদের ওপর। বিশেষত স্কুলে ফার্স্ট-সেকেন্ডের ইঁদুর দৌড়।অভিভাবতকদের সন্তানের প্রতি অতিরিক্ত ভালবাসা, মাত্রাতিরিক্ত যত্নবান হওয়াও না পসন্দ সোনাম ওয়াংচুকের।ক্লাসরুম শিক্ষার বাইরে গিয়েও যে কিছু হয়, সেটা দেখিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। সেই ধারাকেই যেন এগিয়ে নিয়ে চলেছেন সুদুর লাদাখের আধুনিক শিক্ষার পথিকৃত সোনাম ওয়াচুক।
আরও পড়ুন ভারত-পাক যুদ্ধে শহিদ সেনানির স্ত্রীর পা ছুঁয়ে শ্রদ্ধা জানালেন সেনাপ্রধান