টুজি কাণ্ডের বিতর্কিত নোট, অর্থমন্ত্রীর নিশানায় পিএমও
টুজি কাণ্ডে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো অর্থ মন্ত্রকের বিতর্কিত নোটটিতে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের হাত ছিল না।
টুজি কাণ্ডে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো অর্থ মন্ত্রকের বিতর্কিত নোটটিতে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের হাত ছিল না। ক্যাবিনেট সচিবালয়ের সঙ্গে অর্থমন্ত্রকের যে চিঠি চালাচালি হয়েছিল, তা থেকেই এই ইঙ্গিত মিলেছে। পূর্বতন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম চাইলে স্পেকট্রাম বন্টন নিয়ে দুর্নীতি ঠেকাতে পারতেন। এই মর্মে অর্থমন্ত্রকের নোটটি প্রকাশ্যে আসায় শুরু হয় বিতর্ক। প্রণব মুখোপাধ্যায়ের দাবি ছিল, নোটের এই বিতর্কিত অংশটিতে তার কোনও হাত ছিল না। এবার প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে প্রণববাবুরই দাবি, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের ইচ্ছানুযায়ী ওই বিতর্কিত অংশটি নোটে যোগ করা হয়েছিল।
এ রাজা টেলিকম মন্ত্রী থাকাকালীন কোনওরকম নিলাম ছাড়াই টুজি স্পেকট্রাম বণ্টন করা হয়। তত্কালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম চাইলে এই বিষয়টি ঠেকাতে পারতেন। গত মার্চে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে এই মর্মে পাঠানো অর্থমন্ত্রকের নোটটি প্রকাশ্যে আসার পরই শুরু হয়ে যায় তীব্র বিতর্ক। মন্ত্রিসভার দুই সদস্যের মধ্যে সংঘাত নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। পরিস্থিতি সামাল দিতে তড়িঘড়ি চিদম্বরমকে পাশে নিয়ে যৌথবিবৃতি দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। জানান, বিতর্কিত অংশটিতে তাঁর কোনও হাত ছিল না। কিন্তু, কোনওভাবে এড়ানো যায়নি অস্বস্তির কাঁটা।
এবার সেই বিতর্কই পেল এক নতুন মাত্রা। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এক চিঠিতে প্রণববাবু জানিয়েছেন, নোটে চিদম্বরমের নাম উল্লেখ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকেই চাপ দেওয়া হয়েছিল। ক্যাবিনেট সচিবও স্পেকট্রাম বন্টনে বেনিয়ম নিয়ে অর্থমন্ত্রকের নোটের বিষয়টি জানতেন বলে দাবি করেছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। অর্থনীতি বিষয়ক দফতরের সায় না থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর দফতরের ইচ্ছানুসারেই নোটটি দেওয়া হয়েছিল। আর প্রধানমন্ত্রীকে লেখা প্রণববাবুর এই চিঠির জেরেই আরও একবার প্রকাশ্যে চলে এল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে সমন্বয়ের দৈন্য। স্পেকট্রাম বন্টনে বেনিয়ম বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কিছুই জানতেন না বলে কংগ্রেসের দাবিও যে কতটা অসার, প্রণব মুখোপাধ্যায়ের চিঠিতে তা আরও স্পষ্ট হয়েছে। সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে স্পেকট্রাম দুর্নীতি কাণ্ডে এই চিঠিটিও সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অন্যতম হাতিয়ার হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।