পোলিও মুক্ত দেশ হিসেবে ঘোষণা হতে চলেছে ভারতের নাম
একটা সময় যা মনে হয়েছিল অসম্ভব, প্রত্যয় আর পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার জোরে তাকেই সম্ভব করে দেখিয়েছে ভারত। সারা বিশ্বে যত সংখ্যক মানুষ পোলিওর শিকার, এক সময় তার অর্ধেকই ছিল এদেশে। কিন্তু আজ তা বদলে গিয়েছে। পোলিওমুক্ত দেশ হিসেবে ঘোষণা হতে চলেছে ভারতের নাম। পোলিওর বিরুদ্ধে এদেশের লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
একটা সময় যা মনে হয়েছিল অসম্ভব, প্রত্যয় আর পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার জোরে তাকেই সম্ভব করে দেখিয়েছে ভারত। সারা বিশ্বে যত সংখ্যক মানুষ পোলিওর শিকার, এক সময় তার অর্ধেকই ছিল এদেশে। কিন্তু আজ তা বদলে গিয়েছে। পোলিওমুক্ত দেশ হিসেবে ঘোষণা হতে চলেছে ভারতের নাম। পোলিওর বিরুদ্ধে এদেশের লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশাল জনসংখ্যার দেশে জনস্বাস্থ্যে নজির গড়ল ভারত। লাগাতার অভিযান চালিয়ে দেশ এখন পোলিওমুক্ত। ২০১১সালের ১৩ জানুয়ারি, শেষ পোলিও রোগীর সন্ধান মিলেছিল ভারতে। কলকাতার ঝুপড়ি এলাকায় আঠেরো মাসের ওই শিশুকন্যাই ছিল দেশের শেষ পোলিও রোগী। তারপরের তিন বছরে এদেশে আর পোলিও রোগীর সন্ধান মেলেনি। দারিদ্র আর অপুষ্টি যেখানে আজও বড় সমস্যা, জনসংখ্যা এত বিশাল,সেখানে পোলিওমুক্তকরণকে অবিশ্বাস্য সাফল্য হিসেবে বর্ণনা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
হুয়ের ডিরেক্টর জেনারেল মার্গারেট চ্যান বললেন,"ভারত সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে, কোনও কিছুই অসম্ভব নয়। বাকি পৃথিবীর কাছে এটা বিরাট শিক্ষা, দারুণ অনুপ্রেরণা।পোলিও নির্মূলকরণে ভারতের নেতৃত্ব খুবই প্রশংসনীয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আওতাভুক্ত ১৯৪টি দেশই এই সাফল্যকে স্বাগত জানাই।"
১৯৮৫ সালে ভারতে প্যারালিটিক পোলিও রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৫০ হাজার
২০০৯ সাল পর্যন্ত বিশ্বের মোট পোলিও রোগীর অর্ধেক ছিল ভারতে
২০০৯ সালে ৭৪১ জন ভারতীয় পোলিওতে আক্রান্ত হন
পরের বছরই সংখ্যাটা ৪২ এ নেমে আসে
২০১১ সালে তা কমে হয় ১
এভাবেই ধীরে ধীরে বদলে যায় ছবিটা। লাগাতার টিকাকরণ কর্মসূচি, শহর, মফস্বল থেকে প্রত্যন্ত এলাকায় নিবিড় প্রচার আর লাগাতার পর্যবেক্ষণ, এই তিনের জোরে নির্মূল হতে থাকে পোলিও।
বিশ্বের অর্ধেকের বেশি পোলিও আক্রান্তের ঠিকানা ছিল ভারত। পোলিওর ভাইরাস এদেশ থেকে প্রতিবেশী এবং দূরের দেশগুলিতে যেত। পঙ্গু করে দেওয়া এই ব্যাধিকে নির্মূল করার জন্য আমরা দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়েছিলাম।
কাজটা সহজ ছিল না। বাড়ি বাড়ি গিয়ে, বাসস্ট্যান্ডে, স্টেশনে সর্বত্র চালানো হয় টিকাকরণ কর্মসূচি।
প্রতি বছর ১৭ কোটি শিশুকে পোলিও টিকা দেওয়া হয়
১৯৯৫ সাল থেকে পোলিও নির্মূলকরণ প্রকল্পে সরকারের ব্যয় হয়েছে আড়াই বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী বললেন, পোলিও নির্মূল হলেও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলিতে এখনও এই ব্যাধির প্রভাব রয়েছে। তাই আমরা একাজ ঢিলে দিতে পারি না।
শংসাপত্র তৈরির আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে, মার্চের শেষে ভারতকে পোলিওমুক্ত দেশ হিসেবে ঘোষণা করবে হু।