এনকাউন্টারের মাঝে বিগড়ে গেল পিস্তল, মুখে ঠাই-ঠাই শব্দ করে দুষ্কৃতীদের ভয় দেখানোর চেষ্টা পুলিশের
ভয়ানক সময় যদি পুলিশের বন্দু বিগড়ে যায়!
নিজস্ব প্রতিনিধি : ঠিক যেন থ্রিলার। অন্ধকার রাস্তায় পুলিশের চেকপোস্ট। এগিয়ে আসছে দুই বাইক আরোহী। পুলিশ থামতে বলায় তাঁরা আচমকা হাওয়ায় গুলি চালিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে। পুলিশের দল আত্মরক্ষার জন্য আড়ালে যেতেই তাঁরা বাইক নিয়ে চম্পট দেয় রাতের অন্ধকারে। সময় নষ্ট না করে পুলিশ তাঁদের তাড়া করে। বেগতিক দেখে বাইক ফেলে আখের খেতে গা ঢাকা দেয় এক দুর্বৃত্ত। শুরু হয় দুই পক্ষের গুলির লড়াই।
আরও পড়ুন- গুরুগ্রামে বিচারকের স্ত্রী-পুত্রকে প্রকাশ্যে গুলি তাঁরই দেহরক্ষীর
এত পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। নতুন কোনও ঘটনা নয়। এদেশ হোক বা বিদেশ, এনকাউন্টার আকছার হয়েই থাকে। দুষ্কৃতীদের সঙ্গে পুলিশের লড়াই বারো মাস, সাত দিন, ২৪ ঘণ্টা চলতেই থাকে। কিন্তু ভয়ানক সময় যদি পুলিশের বন্দু বিগড়ে যায়! এমন অনভিপ্রেত ঘটনা বোধ হয় কমই হয়ে থাকে। মেরঠে পুলিশের একদল কর্মীর সঙ্গে সেটাই হল। ১৩ সেকেন্ডের ভিডিও প্রমাণ করে গেল, অপরাধী দমনে পুলিশকে কতটা অসহায়তার মধ্যে পড়তে হয় কখনও কখনও। সমস্যাটা মোটেও হালকাভাবে নেওয়ার মতো নয়। ভাবুন তো, উল্টোদিক থেকে যে কোনও সময় ছুটে আসতে পারে গুলি। মুখোমুখি হতে পারেন দাগী আসামীর। এমন সময় যদি কোনও পুলিশ কর্মীর ভরসার পিস্তল কাজ না করে! কী ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পড়তে পারেন তিনি!
UP: Cop shouts 'thain thain' to scare criminals during an encounter in Sambhal after his revolver got jammed. A criminal carrying a bounty of Rs 25,000 was held after the encounter. pic.twitter.com/w46pfs1m49
— TOI Cities (@TOICitiesNews) October 14, 2018
সম্বল জেলার এক আখের খেতে দুই সশস্ত্র দুষ্কৃতীর সঙ্গে লড়তে গিয়ে এমনই ভয়ানক কাণ্ড ঘটল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এসআই মনোজ কুমারের সঙ্গে। শেষমেষ দুই দুষ্কৃতিকে ভয় দেখাতে এবং অপারেশন নিরবচ্ছিন্ন রাখতে তাঁকে মুখেই গুলির আওয়াজ করতে হল। পুলিশ-দুষ্কৃতী লড়াইয়ের মাঝে তিনি আচমকাই মুখে ঠাই-ঠাই আওয়াজ করতে শুরু করলেন। ততক্ষণে তাঁর সার্ভিস পিস্তল বিগড়ে গিয়েছে। তিনি প্রাণপনে সেই জ্যাম হয়ে যাওয়া পিস্তল সারানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু দুষ্কৃতিরা তো আর সময় দেবে না। বরং পিস্তল বিগড়ে যাওয়ার সুযোগে তাঁরা পাল্টা হামলাও করতে পারে। তাই সশস্ত্র দুবৃত্তদের ঠেকানোর জন্য তিনি মারো মারো, ঘেরো ঘেরো, ঠাই ঠাই বলে ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করলেন। উত্তরপ্রদেশের পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অনেক সময়ই গুরুত্বপূর্ণ সময় তাঁদের এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। তবে ঘটনাটা ব্যতিক্রমী বলে মনে করেন তারা। পুলিশের সেই রিভলভারের যান্ত্রিক ত্রুটি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান এসপি যমুনা প্রসাদ।