রবিবার দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠক, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হবেন মমতা
নীতি আয়োগের বৈঠকের পর রাজ্যের দাবিদাওয়া নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আলাদা করে কথা হতে পারে মমতার।
নিজস্ব প্রতিবেদন : দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠকে এবারই প্রথমবার যোগ দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই মোদী সরকারের নীতির বিরুদ্ধে সরব হবেন তিনি। রাজ্যের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা কথা হতে পারে মমতার।
সূত্রের খবর, ইদের দিন বৈঠক ডাকায় ঠিক করেছিলেন তিনি যাবেন না। মূলত তাঁর আপত্তিতেই বৈঠক ১দিন পিছিয়ে দেয় কেন্দ্র। চন্দ্রশেখর রাও-চন্দ্রবাবু নায়ডুরা চাইছিলেন নীতি আয়োগের বৈঠকে তাঁদের সঙ্গে থাকুন মমতা। তাই, শেষপর্যন্ত সিদ্ধান্ত বদল করে কেন্দ্র।
শনিবার দিল্লিতে পৌঁছনোর পর চন্দ্রশেখর রাও, চন্দ্রবাবু নায়ডু সহ পাঁচ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নীতি আয়োগের বৈঠকের মঞ্চকে ব্যবহার করে তাঁরা কেন্দ্রীয় নীতির বিরুদ্ধে সরব হবেন বলেও নিজেদের মধ্যে আলোচনা সারেন তাঁরা।
আরও পড়ুন- দিল্লির 'সঙ্কটে' প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইছেন মমতা
রবিবার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের আমলে নীতি আয়োগের চতুর্থ তথা শেষ পূর্ণাঙ্গ বৈঠক। বৈঠকে ২০২২-এর মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করা এবং নতুন ভারত গঠন নিয়ে কথা হবে। আয়ুষ্মান ভারত, মিশন ইন্দ্রধনুষ, জাতীয় পুষ্টি মিশন, অনগ্রসর জেলার উন্নয়ন নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের মতামত শুনবে কেন্দ্র। সেখানেই কৃষকদের বর্তমান দুরবস্থায় কীভাবে তাঁদের আয় দ্বিগুণ করা যাবে, এই বৈঠকে সেই প্রশ্নও তুলতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নীতি আয়োগের বৈঠকের পর রাজ্যের দাবিদাওয়া নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আলাদা করে কথা হতে পারে মমতার। অন্তত এমনটাই সূত্রের খবর।
নীতি আয়োগের বৈঠকে থাকছেন অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু এবং কে চন্দ্রশেখর রাও। ফলে মনে করা হচ্ছে নীতি আয়োগের বৈঠকের পর, দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে চন্দ্রশেখর ও চন্দ্রবাবুর ফেডারাল ফ্রন্ট নিয়ে কথা হতে পারে। অন্যান্য দলের নেতানেত্রীরাও মমতার সঙ্গে দেখা করতে পারেন।