মোদীর নেপাল সফর কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
২০১৫ সালের শেষ দিকে নেপালে প্রথমবার সংবিধান রচনা হওয়ার পিছনে ভারতের অবদান উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হয়। এরপর এবারই প্রথম সে দেশে যাচ্ছেন মোদী।
নিজস্ব প্রতিবেদন : বেজিংয়ের সঙ্গে নেপালের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগীতার সম্পর্ক গভীর হওয়ায় ভারতের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তাই এবার নেপালের সঙ্গে দূরত্ব ঘোচাতে বিশেষভাবে উদ্যোগী হল কেন্দ্র। এই নিয়ে ৪ বছরে তৃতীয়বারের জন্য নেপাল সফরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নেপালে নতুন সরকার গঠনের পর এবারের মোদী সফর তাই যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
২০১৫ সালের শেষ দিকে নেপালে প্রথমবার সংবিধান রচনা হওয়ার পিছনে ভারতের অবদান উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হয়। এরপর এবারই প্রথম সে দেশে যাচ্ছেন মোদী। ফলে, এই সফর সেদিক থেকেও বিশেষ গুরুত্বের।
India and Nepal will work towards building 'Ramayan' circuit between both the countries. This will act as foundation for strong people to people contact between the two nations :PM Modi at the launch of bus service between Janakpur-Ayodhya, in Janakpur #Nepal pic.twitter.com/yzxi1XY4ko
— ANI (@ANI) May 11, 2018
দু'দিনের সফরের শুরুতে শুক্রবার মোদী জনকপুর মন্দিরে যান। সেখানে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। সেখানেই প্রস্তাবিত অরুণ-৩ প্রকল্পের জন্য দু'দেশের মধ্যে মউ স্বাক্ষরিত হয়। ৬ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পে ৯০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদনের লক্ষমাত্রা রাখা হয়েছে। এরফলে নেপাল ও ভারত একযোগে উপকৃত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- মুম্বই পুলিসের যুগ্ম কমিশনার হিমাংশু রায় আত্মঘাতী
এছাড়াও, দুই দেশ যৌথভাবে রামায়ন সার্কিটের ঘোষণা করে। এর মাধ্যমে অযোধ্যা, নান্দিগ্রাম, চিত্রকূটের মতো স্থানকে পর্যটকদের জন্য আরও আকর্ষণীয় করে তোলার লক্ষ্যে কাজ করবে দুই দেশ। এদিন বিকেলে জনকপুর থেকে কাঠমান্ডু রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার সকাল থেকে সেখানে একগুচ্ছ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মোদী। দেখা করবেন নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারি ও উপ-রাষ্ট্রপতি নরেন্দ্র বাহাদুর পানের সঙ্গেও। এছাড়া কাঠমান্ডুতে পশুপতি নাথ মন্দিরেও পুজো দেবেন প্রধানমন্ত্রী।