সন্তান সংখ্যা নির্ধারণ হিন্দু দম্পতিদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত হতে পারে না: বিশ্ব হিন্দু পরিষদ
হিন্দু দম্পতিদের সন্তান সংখ্যা কত হওয়া উচিৎ ,সেই নিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের 'নির্দেশিকা' জারির প্রবণতায় ফুলস্টপ পড়ার কোনও সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছে না। নিজেদের সাম্প্রতিক ট্র্যাডিশনের পথে হেঁটে শুক্রবার ভিএইচপি-এর পক্ষ থেকে আরও একবার জানানো হল ''এক সন্তানের সিদ্ধান্ত কোনও হিন্দু দম্পতির ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের বিষয় হতে পারে না। জাতীর অস্তিস্ত্বের সঙ্গে যখন প্রশ্নটা জড়িয়ে থাকে, তখন এ বিষয়ে ব্যক্তিগত পছন্দ বা ইচ্ছার কোনও মূল্য নেই।''
নয়া দিল্লি: হিন্দু দম্পতিদের সন্তান সংখ্যা কত হওয়া উচিৎ ,সেই নিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের 'নির্দেশিকা' জারির প্রবণতায় ফুলস্টপ পড়ার কোনও সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছে না। নিজেদের সাম্প্রতিক ট্র্যাডিশনের পথে হেঁটে শুক্রবার ভিএইচপি-এর পক্ষ থেকে আরও একবার জানানো হল ''এক সন্তানের সিদ্ধান্ত কোনও হিন্দু দম্পতির ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের বিষয় হতে পারে না। জাতীর অস্তিস্ত্বের সঙ্গে যখন প্রশ্নটা জড়িয়ে থাকে, তখন এ বিষয়ে ব্যক্তিগত পছন্দ বা ইচ্ছার কোনও মূল্য নেই।''
এই মন্তব্যের জেরে ফের কাঠগড়ায় সঙ্ঘ পরিবার। নাগরিকদের ব্যক্তিগত জীবনে খবরদারি করার যে অভিযোগ গেরুয়া ব্রিগেডের বিরুদ্ধে বারবার উঠেছে, শুক্রবারের মন্তব্য আরও একবার সেই অভিযোগকে জোরালো করল।
শুধু ভিএইচপি নয়, গত কয়েকদিন যাবত সঙ্ঘ পরিবার ও বিজেপির নেতা-নেত্রীরা এ বিষয়ে তাঁদের 'সুচিন্তিত' মতামত দিয়ে আসছেন। কেউ প্রতি হিন্দু নারী পিছু অন্তত চারটি সন্তান প্রসবের 'বিধান' দিয়েছেন, কেউবা দশটি সন্তানের পক্ষে সওয়াল করেছেন।
গতকাল ভিএইচপি-এর ইন্টারন্যাশনাল সেক্রেটারি জেনেরাল চম্পত রাই আরও একবার বিতর্কিত এই ইস্যু উসকে দিয়ে বলেছেন ''এক সন্তানের সিদ্ধান্ত দেশের অস্তিত্বরক্ষার পক্ষে সমস্যাজনক।''
গতকাল প্রকাশিত এক সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীর সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে চলেছে ভারত। সেই সমীক্ষাকে উদাহরণ হিসেবে টেনে রাই বলেছেন ''এই দেশকে মুসলিমদের অধীনস্থ হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে প্রতি হিন্দু দম্পতি পিছু অন্তত দুটি করে সন্তান প্রয়োজন।'' যদিও ওই সমীক্ষাতেই বলা হয়েছে, মুসলিম জনসংখ্যা বাড়লেও , ভারতে হিন্দু-মুসলিম অনুপাতে কোনও বদল ঘটবে না।
এক সঙ্গেই ভিএইচপি-এর পক্ষ থেকে সুপ্রিমকোর্টে রাম মন্দির গড়ে তোলার আবেদন সংক্রান্ত মতামত দ্রুত জানানোর আবেদন করা হয়েছে। রাই-এর বয়ান অনুযায়ী ''বিষয়টি শুধুমাত্র যে কোনও রাম মন্দির গড়ে তোলা নয়, বিষয়টি আসলে রামজন্মভূমিতে তাঁর মন্দির স্থাপন।''
রাই সাফ জানিয়েছেন যত বিতর্কই হোক না কেন, যত আপত্তিই আসুক, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ তাদের 'ঘর ওয়াপসি' কর্মসূচী থেকে মোটেও সরে আসবে না।