অনাস্থা আনতে ব্যর্থ বিরোধীরা, হট্টগোলের মধ্যে মুলতুবি অধিবেশন

এই মুহূর্তে লোকসভায় ৫৩৯(স্পিকার বাদে) আসনের মধ্যে বিজেপির হাতে রয়েছে ২৭৫টি আসন(স্পিকার ও দুই মনোনীত সদস্য ধরে), যা সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ২৭১-এর থেকে বেশি।

Updated By: Mar 19, 2018, 02:10 PM IST
অনাস্থা আনতে ব্যর্থ বিরোধীরা, হট্টগোলের মধ্যে মুলতুবি অধিবেশন

নিজস্ব প্রতিবেদন : একজোট হয়েও শেষ পর্যন্ত সোমবার কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হল না বিরোধীদের। সোমবার সকালে লোকসভার অধিবেশন শুরু হলেও, চরম হৈ হট্টগোলের কারণে অল্প সময়ের মধ্যেই তা মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতুবি ঘোষণা করেন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। ফলে বিরোধীদের আরও একদিন এই অনাস্থা প্রস্তাব আনার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। প্রসঙ্গত, এই প্রথম নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরদ্ধে অনাস্থা আনতে চলেছে বিরোধী দলগুলি।

অন্ধ্রপ্রদেশকে বিশেষ রাজ্যের স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি নিয়েই এনডিএ সরকার থেকে শুক্রবার বেরিয়ে আসে চন্দ্রবাবু নাইডুর নেতৃত্বাধীন তেলুগু দেশম পার্টি(টিডিপি)। এনডিএ ছাড়ার পরই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে শুক্রবারই প্রথম অনাস্থা আনে টিডিপি ও ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি(ওয়াইএসআরসিপি)। সেই অনাস্থা প্রস্তাবকে একযোগে সমর্থন জানায় কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, এনসিপি, আরজেডি, আম আদমি পার্টি ও এআইএমআইএম। তবে, এই প্রসঙ্গে এখনও যারা নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করেছে তাদের মধ্যে রয়েছে এআইএডিএমকে, বিজু জনতা দল ও তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি।

আরও পড়ুন- মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আজ অনাস্থা প্রস্তাব আনছে ওয়াইএসআর কংগ্রেস-টিডিপি, একজোট বিরোধীরা

শুক্রবার অনাস্থা প্রস্তাব আনার আগে টিডিপি ও ওয়াইএসআর কংগ্রেসের দেওয়া নোটিস গ্রহণ করা হয়নি লোকসভায়। কারণ হিসেবে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অনন্ত কুমার ব্যাখ্যা দেন, সংসদের কাজ ঠিকঠাক চলছে না। তাই ওই নোটিস গ্রহণ করা হয়নি। এরপর ফের আজ, সোমবার মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার জন্য তৈরি হয় বিরোধীরা। কিন্তু, সংসদের অধিবেশন শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তা মুলতুবি ঘোষণা করেন স্পিকার। ফলে, আরও একদিন এই প্রস্তাব আনার জন্য অপেক্ষা করতে হবে বিরোধীদের।

অন্যদিকে, বিরোধীদের এই প্রস্তাব ইস্যুকে গুরুত্ব দিতে নারাজ মোদী সরকার। তাদের দাবি, বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবকে মোকাবিলা করার জন্য লোকসভায় প্রয়োজনীয় আসন সংখ্যার থেকে বেশি আসন রয়েছে বিজেপির হাতে।

এই মুহূর্তে লোকসভায় ৫৩৯(স্পিকার বাদে) আসনের মধ্যে বিজেপির হাতে রয়েছে ২৭৫টি আসন(স্পিকার ও দুই মনোনীত সদস্য ধরে), যা সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ২৭১-এর থেকে বেশি। অন্যদিকে, অনাস্থার পক্ষে রয়েছে কংগ্রেস(৪৮), তৃণমূল কংগ্রেস(৩৪), টিডিপি(১৬), ওআইএসআর কংগ্রেস ও সিপিআইএম(৯টি করে), এনসিপি(৬), আপ(৪), আরজেডি(৪) এবং এআইএমআইএম(১)।

আরও পড়ুন- মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা টিডিপির, একজোটে সমর্থন বিরোধীদের

তবে, এখনও পর্যন্ত যে দলগুলি নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করেছে তাদের সাংসদ সংখ্যাও কিন্তু উল্লেখযোগ্য। তাদের মধ্যে বিশেষ করে, এআইএডিএমকে-র রয়েছে ৩৭জন সাংসদ, বিজু জনতা দলের ২০ ও তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির ১১ জন সদস্য রয়েছেন। এই দলগুলি এখন পর্যন্ত নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করায় স্বস্তি মোদী শিবিরে।

.