বিজেপি বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী মমতা, ইঙ্গিত ওমর আবদুল্লার
নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করলেন ওমর আবদুল্লা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। ২০১৯ সালে মমতা যে বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হতে পারেন, তার ইঙ্গিতও তিনি।
নবান্নে ওমর আবদুল্লা বলেন,''মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমরা দেশের রাজধানীতে নিয়ে যাব। কলকাতায় যা কাজ করেছেন, এবার তা গোটা দেশে করবেন তিনি''। জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে ওমর আবদুল্লার কাছে উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ''দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দেশজুড়ে সংখ্যালঘুদের মধ্যে যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তাও উঠে এসেছে আলোচনায়''।
Mamata didi has always been concerned about Kashmir. We discussed the current situation of my state. We had a discussion about the present situation in the nation & about the fear that prevails in minorities: Former J&K CM Omar Abdullah after meeting WB CM in Howrah #WestBengal pic.twitter.com/dUAM7qBBjX
— ANI (@ANI) July 27, 2018
ন্যাশনাল কনফারেন্স ও তৃণমূলের অবস্থানের মধ্যে কোনও ফারাক নেই বলেও স্পষ্ট করেছেন ওমর আবদুল্লা। ২০১৯ সালে বিজেপিকে রুখতে মহাজোটের সলতে পাকানো শুরু হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে ওমর আবদুল্লার কথায়, ''তাঁদের জোটকে নামে ডাকা হবে তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। বিজেপি বিরোধী সব দলই যোগদান করতে পারে। আমরা বিজেপিকে হারানোর চেষ্টা করব''।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কয়েকটি ছাড়া সব আঞ্চলিক দলই বিজেপি বিরোধী জোটে সামিল হচ্ছে। বিজেপি সরকারের ব্যবহার নিন্দাজনক। কেন্দ্রের সরকারকে স্বৈরাচারী আখ্যা দিয়ে মমতার অভিযোগ, তৃণমূলকে ভয় দেখাচ্ছে বিজেপি। মমতার আশ্বাস, ২০১৭ সালে বিরোধীদের সরকার হবে মানুষের জন্যে। ওমর আবদুল্লাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ''ওমর আবদুল্লা নবীন নেতা। এখানে আসার জন্য ওনাকে ধন্যবাদ''।
দিন কয়েক আগে রাহুল গান্ধীই জানিয়েছিলেন, বিজেপি-আরএসএসকে রুখতে প্রধানমন্ত্রী কুর্সি ছাড়তে নারাজ তিনি। মায়াবতী-মমতাকে প্রধানমন্ত্রী করতেও রাজি। কংগ্রেস সভাপতির এমন মন্তব্যের পরই মমতার নাম জোরালভাবে ভেসে উঠেছে।
২১ শে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে ১৯ জানুয়ারি কলকাতায় ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছেন মমতা। বলেছেন, ''ব্রিগেডে বিরোধী দলের নেতানেত্রীরা হাজির থাকবেন।'' এমনকি সনিয়া গান্ধীকে তিনি আমন্ত্রণ জানাবেন বলে খবর। সেই লক্ষ্যেই ৩১ জুলাই দিল্লিতে ৩ দিনের সফরে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লিতে আঞ্চলিক ও বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে দেখা করে আরও একবার 'ফেডারেল ফ্রন্টে'র সমর্থন ঝালিয়ে নেবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। ২১ শে জুলাইয়ের মঞ্চেই মমতা দাবি করেছিলেন, এবার ১৫০ আসনও পেরোতে পারবে না বিজেপি। বিরোধীরাই সরকার গড়বে।
বিরোধী শিবির সূত্রে খবর, ২০১৯ সালে মোদীর বিরুদ্ধে মহিলা মুখকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে এই দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মায়াবতী। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অ্যাডভান্টেজে তৃণমূল নেত্রীই।
আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রীর অটোগ্রাফের পর বিয়ের প্রস্তাব পাচ্ছেন বাঁকুড়ার রীতা