'জেদি মেয়ে, তাই পিছিয়ে আসতে বলব না' মন্তব্য ঐশীর দিদার
শান্তি সিনহা জানেন জেদি মেয়ে ঐশী কারও কথা শুনবে না। কাজেই এই সময়ে ফোন করে নাতনিকে অযথা বিব্রতও করতে রাজি নন দিদা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নিজস্ব প্রতিবেদন: আদরের নাতনি রক্তাক্ত। উদ্বেগ তো রয়েছেই। কিন্তু তা বলে আন্দোলন থেকে নাতনিকে পিছিয়ে আসতে বলবেন না ঐশীর দিদা। কারণ বৃদ্ধা শান্তি সিনহা জানেন জেদি মেয়ে কারও কথা শুনবে না। কাজেই এই সময়ে ফোন করে নাতনিকে অযথা বিব্রতও করতে রাজি নন দিদা। রবিবার দুপুর আড়েইটা নাগাদ ‘অশনি সঙ্কেত’ মিলেছিল। এবং তত্ক্ষণাত্ দিল্লি পুলিসকে মেসেজ করে অনাহুত বিপদের কথা জানান জেএনইউ-র ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ। কিন্তু তাতেও কোনও কাজ দেয়নি।
দুষ্কৃতিদের হাতে গুরুতর জখম হন ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, মাথায় এবং হাতে ব্যাথ্যা রয়েছে। ১৫-১৬টা সেলাই পড়েছে মাথায়। ঐশীর দাবি, লোহার রড দিয়ে যেভাবে আঘাত করা হয়েছে, গভীর ক্ষত তৈরি হয় মাথায়। রক্ত ঝরে প্রচুর। হাতেও গুরুতর চোট লেগেছে। তবে, ঐশী এখন বিপন্মুক্ত বলেই জানা গিয়েছে।
ঘটনার পর ঐশী জানিয়েছেন, কিছু মুখোশধারী দুষ্কৃতী অতর্কিতে হামলা চালায়। কিছু বোঝার আগে এ সব ঘটনা ঘটে গিয়েছে। তাঁর দাবি, পুলিসকে সে খবর জানানো হয়েছিল। কিন্তু পুলিস কোনও পদক্ষেপ করেনি। এবিভিপি-র বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ঐশী বলেন, জেএনইউ-র এ ধরনের সংস্কৃতি নয়। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা যেতে পারতো। কিন্তু ক্যাম্পাসের ভিতর বাইরের লোক কীভাবে ঢোকে? কীভাবে রড-সহ অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে দুষ্কৃতীরা, প্রশ্ন তোলেন ঐশী। পাশাপাশি তিনি এও স্পষ্ট করেছেন যে যাই হয়ে যাক, আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য দুর্গাপুরের মেয়ে ঐশী। স্কুলে পড়াশোনা শেষ করে দুর্গাপুর থেকে সোজা নয়াদিল্লি। স্নাতকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়ার পর মাস্টার ডিগ্রিতে পড়াশোনার বিষয় হল আন্তর্জাতিক সম্পর্ক। মেধাবী ঐশী এখন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক তথা ইন্টারন্যাশনাল রিলেশলস নিয়েই এমফিলের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।