চাপ বাড়াল আন্দোলনকারীরা, ৭ ঘণ্টা বৈঠকের ফল শূন্য; কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে অনড় কৃষকরা

কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী কৃষকদের আশ্বাস দেন ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে হাত পড়বে না।

Updated By: Dec 3, 2020, 10:00 PM IST
চাপ বাড়াল আন্দোলনকারীরা, ৭ ঘণ্টা বৈঠকের ফল শূন্য; কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে অনড় কৃষকরা
ছবি-টুইটার

নিজস্ব প্রতিবেদন: কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে সরকারের আলোচনায় সমাধানসূত্র অধরাই রইল। আজ দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে টানা ৭ ঘণ্টা আলোচনার নিট ফল শূন্য। পরবর্তি বৈঠক হবে আগামী ৫ ডিসেম্বর।

কৃষকরা তাদের সেই পুরোন দাবিতেই অনড়। নয়া ৩ কৃষি আইন বাতিল করতে হবে। তবে এর মধ্যেই কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী কৃষকদের আশ্বাস দেন ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে হাত পড়বে না। আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন। কিন্তু তাতে চিড়ে ভেজেনি।

আরও পড়ুন-কলকাতা পেতে চলেছে আরও তিনটি নতুন উড়ালপুল, মাঝেরহাট থেকে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

বিক্ষোভ দিল্লির উপকন্ঠে হাজির। রাজধানী ঢোকার ৫ রাস্তায় বসে রয়েছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। তারা যাতে না ঢুকতে পারেন তার জন্য ব্যারিকেড খাড়া করেছে দিল্লি পুলিস। মোতায়েন করা হয়েছে র্যাফও। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে। কৃষকদের সঙ্গে আজ ফের আলোচনায় বসেছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর, রেলমন্ত্রী পীয়ূষ গোল সহ একাধিক নেতা।

সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী বলেন, সরকারের কোনও ইগো নেই। কৃষি বিল নিয়ে আলোচনা চলবে। তবে কৃষি আইন বাতিলের দাবি মানা সম্ভব নয়।  বৈঠকে কৃষক নেতাদের দাবি ছিল, সংসদে বিশেষ অধিবেশন ডেকে কৃষি আইন বাতিল করা হোক।

বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে সাক্ষাত করেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্য়াপ্টেন অমরিন্দর সিং। দেশের অর্থনীতি ও কৃষকদের স্বার্থে ওই সমস্যা দ্রুত মেটানের আবেদন করেন তিনি।

আরও পড়ুন- টি বোর্ডের ৫০ কোটি তছরুপের হিসেব দিতে হবে : সৌমিত্র, পাল্টা 'বিস্ফোরক' দাবি সৌরভের

আজকের বৈঠকে অন্যভাবে সরকারকে তাদের অনড় অবস্থানের বার্তা দেন কৃষকরা। দুপুরে আলোচনার বিরতির সময়ে সরকারের দেওয়া খাবার খেতে অস্বীকার করলেন কৃষকরা। পরিবর্তে একটি বিশেষ গাড়িতে আনা খাবারই খেলেন কৃষক নেতারা। সংবাদমাধ্যমে তাঁরা জানান, সরকারের দেওয়া চা কিংবা খাবার কোনও কিছুই আমরা নিচ্ছি না। আমার নিজেদের খাবার সঙ্গে এনেছি। সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করছে সংবাদসংস্থা।

কৃষক আন্দোলনের জেরে আজও চিল্লা সীমান্তে দিল্লি-নয়ডা রাস্তা বন্ধ থাকে। সিঙ্ঘু ও তিকরি সীমান্তও বন্ধ রাখা হয় আন্দোলনের জেরে। বন্ধ রাখা হয় গাজিপুর সীমান্তও।

এদিকে বিভিন্নভাবে কেন্দ্রের ওপরে চাপ বাড়াচ্ছে পঞ্জাব। কৃষক আন্দোলেন নিয়ে সরকারের উদাসীনতার প্রতিবাদে পদ্মভূষণ ফিরিয়ে দিলেন পঞ্জাবের পাঁচবারের মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিং বাদল।

.