জমি জট কাটাতে এ মাসেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে আসছেন গড়করি
জমি জটে আটকে থাকায় রাজ্যের জাতীয়সড়ক সম্প্রসারণগুলির জন্য বরাদ্দ বন্ধ করেছে কেন্দ্র। ২২ ডিসেম্বর এবিষয়ে কথা বলতে রাজ্যে আসছেন সংশ্লিষ্ট দফতরের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়করি। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
সম্পূর্ণ হয়নি জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ। ফলে রাজ্যের একাধিক জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পে টাকা দেওয়া বন্ধ করেছে কেন্দ্র। এর জেরে আটকে রয়েছে একত্রিশ নম্বর, একত্রিশের সি, একত্রিশের ডি ও একচল্লিশ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ। ওই সব সড়ক সম্প্রসারণের কাজ চলছে বারাসাত, কৃষ্ণনগর, ফরাক্কা, ডালখোলা, রায়গঞ্জ এলাকায়। সম্প্রতি এবিষয়ে রাজ্যের তরফে চিঠি দেওয়া হয় জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে। চিঠিতে দাবি করা হয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ। সামান্য কিছু এলাকায় জমি অধিগ্রহণ বাকি রয়েছে।
সেকারণে এই খাতে রাজ্যের বরাদ্দ অর্থ দেওয়ার জন্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে আর্জি জানানো হয় চিঠিতে। তবে সেই আর্জিতে সাড়া দেয়নি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়ে দেয়, নিয়ম অনুযায়ী জমি অধিগ্রহণের কাজ একশ শতাংশ সম্পূর্ণ না হলে ওই খাতে বরাদ্দ কোনও টাকাই দেওয়া যাবে না। জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ নিয়ে পর্যালোচনা করতে বাইশে ডিসেম্বর রাজ্যে আসছেন সংশ্লিষ্ট দফতরের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়করি। ওই দিন নবান্নে বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। ওই বৈঠকে উঠবে জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পে রাজ্যের বরাদ্দ টাকা আটকে দেওয়ার প্রসঙ্গ। তার আগে ফের তত্পর হলেন রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা। বুধবার উত্তর চব্বিশ পরগনা, নদিয়া, মালদা, মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার সহ একাধিক জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। বৈঠকে জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ কোন জেলায় কতটা বাকি রয়েছে সেবিষয়ে খোঁজখবর নেন তিনি। একইসঙ্গে নীতীন গড়করির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের আগেই জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সম্ভবত বাইশ তারিখের বৈঠকেই জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পে বরাদ্দ কেন্দ্রীয় অর্থ দেওয়ার জন্য দাবি জানানো হবে রাজ্যের তরফে।