বাড়ছে ধর্ষণ, নির্ভয়া ফান্ড ব্যবহারে উদাসীন মহারাষ্ট্র, মণিপুর, ত্রিপুরা-সহ একাধিক রাজ্য
লোকসভায় সরকার জানিয়েছে, চলতি বছর নভেম্বর মাস পর্যন্ত ১৬৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তার ৯১ শতাংশ অর্থে ধুলো জমেছে। যেমন রাজকোষ তেমনই পড়ে। সরকার জানাচ্ছে, মাত্র ১৪৭ কোটি টাকা ব্যবহৃত হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: নির্ভয়া ফান্ড তৈরি হয় ইউপিএ জমানায়। নির্ভয়া ধর্ষণকাণ্ডে দেশ তোলপাড় হওয়ার পর ২০১৩ সালে সাধারণ বাজেটে এক হাজার কোটি টাকার তহবিলের ঘোষণা করা হয়। পরে বরাদ্দ হয় ১৬৭২ কোটি টাকা। কিন্তু ওই বরাদ্দই সার! যে দেশে ধর্ষণের ঘটনা ক্রমবর্ধমান, নারী নিরাপত্তা নিয়ে ভূরিভূরি অভিযোগ, সে দেশে নারীদের জন্য রাজ্যগুলি কতটা উদাসীন, কেন্দ্রেই এই রিপোর্টই প্রমাণ।
লোকসভায় সরকার জানিয়েছে, চলতি বছর নভেম্বর মাস পর্যন্ত ১৬৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তার ৯১ শতাংশ অর্থে ধুলো জমেছে। যেমন রাজকোষ তেমনই পড়ে। সরকার জানাচ্ছে, মাত্র ১৪৭ কোটি টাকা ব্যবহৃত হয়েছে। মহারাষ্ট্র, মণিপুর, মেঘালয়, সিকিম, ত্রিপুরা এবং দমন ও দিউ তো খাতাই খোলেনি। হায়দরাবাদ ধর্ষণ কাণ্ডে যখন দেশ তোলপাড়, এ রিপোর্ট শিহরণ জাগানোর মতোই বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
আরও পড়ুন- মিড-ডে মিলে মিলল মৃত ইদুর, খেয়ে হাসপাতালে চিকিত্সাধীন একাধিক পড়ুয়া
প্রায়শই নারী নিরাপত্তা প্রশ্নে খবরের শিরোনামে থেকেছে দিল্লি। ২০১২ সালে নির্ভয়া কাণ্ডে উত্তাল রাজধানীই নারীদের সুরক্ষার বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছে। তারপরই আসে কঠোর আইন। নির্ভয়া ফান্ড। কিন্তু রিপোর্ট বলছে, দিল্লি বরাদ্দ তহবিলের মাত্র ৪.৯৬ শতাংশ ব্যবহার করেছে। পশ্চিমবঙ্গ ৫.১৮ শতাংশ, গুজরাট ১.৬৯ শতাংশ, উত্তর প্রদেশ ৩.২৯ শতাংশ অর্থ ব্যবহার করেছে। বরাদ্দ অর্থের প্রায় ৭০ শতাংশ খরচ করেছে উত্তরাখণ্ড, মিজোরাম। উল্লেখ্য, রাজ্যের শিশু ও নারী কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা যদিও নির্ভয়া তহবিল ব্যবহারের বিষয়টি খারিজ করে দিয়েছেন। তিনি জানান, কেন্দ্রের কোন সাহায্য রাজ্য সরকার নেয়নি। নারী সুরক্ষা নিয়ে রাজ্যের একাধিক প্রকল্প রয়েছে। তা যথাযথভাবে ব্যবহার হচ্ছে বলে দাবি করেন শশী পাঁজা।