রাতের বেলা মেয়েদের বাড়ির বাইরে থাকা ভারতীয় সংস্কৃতির পরিপন্থী, মন্তব্য কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রীর
ভারতীয় সংস্কৃতির সংজ্ঞা কী? এবার সেই সংজ্ঞা নির্ধারণ করতেই উঠেপড়ে লাগলেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী মহেশ শর্মা। দ্য টেলিগ্রাফে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী ভারতীয় সংস্কৃতি বোঝাতে সাতটি পয়েন্টের উল্লেখ করেছেন তিনি। যদিও শেষ পর্যন্ত ৫টিরই 'হদিশই' দিতে পেরেছেন তিনি। পাশ্চত্য সংস্কৃতির 'দূষন' থেকে ভারতকে 'রক্ষা' করার পক্ষেও সওয়াল করেছেন তিনি। লোকসভা ভোটে বিজেপির সাফল্য তাঁর মতে দেশে 'গৈরিকিকরণ'-এর সুপ্রভাবের ফলাফল।
ওয়েব ডেস্ক: ভারতীয় সংস্কৃতির সংজ্ঞা কী? এবার সেই সংজ্ঞা নির্ধারণ করতেই উঠেপড়ে লাগলেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী মহেশ শর্মা। দ্য টেলিগ্রাফে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী ভারতীয় সংস্কৃতি বোঝাতে সাতটি পয়েন্টের উল্লেখ করেছেন তিনি। যদিও শেষ পর্যন্ত ৫টিরই 'হদিশই' দিতে পেরেছেন তিনি। পাশ্চত্য সংস্কৃতির 'দূষন' থেকে ভারতকে 'রক্ষা' করার পক্ষেও সওয়াল করেছেন তিনি। লোকসভা ভোটে বিজেপির সাফল্য তাঁর মতে দেশে 'গৈরিকিকরণ'-এর সুপ্রভাবের ফলাফল।
''দেশের ১২৫ কোটি মানুষ আসলে গৈরিকিকরণের পক্ষে মত দিয়েছেন। তাঁরা জানেন আরএসএস কী, জানেন বিজেপির সম্পর্কেও। তাঁরা আমাদের দেশ চালানোর দায়িত্ব দিয়েছেন'' শর্মা উবাচ।
সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন পাশ্চত্যকরণ এ দেশের পক্ষে মোটেও ভাল নয়। মহেশ শর্মা বলেছেন ''এখানে ১৫ বছরের একজন তাদের বাবা-মাকে ছেড়ে যায় না। ১৪ বছরের কিশোরী অন্যত্র কোথাও রাতে ঘুরে বেড়াতেই পারে। কিন্তু এ দেশে ওসব চলে না।''
তাঁর মতে ভারতীয় সংস্কৃতির সংজ্ঞা হল ''তিন প্রজন্ম একই রান্নাঘরে রান্না করে, একই টেবিলে খায়। বাবা-মার সঙ্গে সন্তানদের সম্পর্ক ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা এখানে অটুট। ভারতীরা একে অপরের প্রতি অনুভূতিগুলিকে সম্মান করেন।''
তাঁর মতে উপন্যাস পড়ার আগে ভারতীয়দের উচিৎ নিজেদের মূল্যবোধ সম্পর্কে সচেতন হওয়া। 'থাইল্যান্ড, দুবাই, সিঙ্গাপুরের থেকে জ্ঞান অর্জন করার আগে নিজেদের ঐতিহ্যকে জেনে নেওয়া প্রয়োজন।'' মন্তব্য মহেশ শর্মার।
পাশ্চত্য 'অপসংস্কৃতির' হাত থেকে এদেশকে রক্ষা করতে সচেষ্ট মোদী সরকার। দাবি শর্মার। বেশ কিছু কেন্দ্রীয় সরকারি লাইব্রেরি ও প্রতিষ্ঠানগুলিকে নতুন করে ঢেলে সাজাবে কেন্দ্র। জানিয়েছেন তিনি। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিও এ বিষয়ে বিশেষ ভাবে সচেষ্ট বলে জানিয়েছেন তিনি। সংস্কৃত ভাষা চর্চা ও ইতিহাস বইগুলো 'নতুন' করে লেখার উপরও জোর দেওয়া হচ্ছে।