করোনা আবহে চরম সতর্কতা, রবিবার দেশজুড়ে NEET-এ বসছেন ১৫ লাখ পরীক্ষার্থী
এনটিএর-র তরফে জানানো হয়েছে, পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে ও ভেতরে হ্যান্ড স্যানিটাইজার মজুত থাকবে
নিজস্ব প্রতিবেদন: বহু ঝক্কি শেষে রবিবার দেশজুড়ে নেওয়া হচ্ছে সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষা NEET। ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির(NTA) দাবিমতো, আগামিকালের NEET-এ বসতে পারেন ১৫ লাখ পরীক্ষার্থী।
করোনা আবহের ওইসব পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে চরম সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে পরীক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে দেশের ২,৫৪৬ সেন্টারে পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল। পরে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩,৮৪৩। প্রতিটি রুমে বসানো হবে মাত্র ১২ জন।
আরও পড়ুন-নিষেধাজ্ঞা তুলল বাংলাদেশ, সপ্তাহখানেক পরেই রাজ্যবাসীর পাতে পড়তে চলেছে পদ্মার ইলিশ
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে দু'বার পিছিয়ে দেওয়া হয় NEET। পরীক্ষাটি হওয়ার কথা ছিল ৩ মে। সেই তারিখ বাতিল করে করা হয় ২৬ জুলাই। কিন্তু দেশে করোনা পরিস্থিতি তুঙ্গে থাকায় সেই তারিখও বাতিল করা হয়। শেষপর্যন্ত ঠিক হয় পরীক্ষা নেওয়া হবে ১৩ সেপ্টেম্বর। এনিয়ে বহু মামলা হয়েছে, রাজনৈতিক চাপানউতোরও হয়েছে প্রচুর। কিন্তু অনড় কেন্দ্র।
ন্যাশন্যাল টেস্টিং এজেন্সির এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, পরীক্ষাকেন্দ্রে বাইরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পরীক্ষার্থীদের ঢোকা ও বের হওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। হলে ঢোকার আগে পরীক্ষার্থীরা যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দাঁডা়তে পারেন তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা যাতে পরীক্ষাকেন্দ্রে সহজে পৌঁছাতে পারেন তার ব্যবস্থা করার জন্য রাজ্য সরকারগুলিকে অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-কোভিড পজিটিভ রোগীর মৃত্যুতে বিপুল অঙ্কের বিল, চার্নক হাসপাতালে বিক্ষোভ পরিবারের
এনটিএর-র তরফে জানানো হয়েছে, পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে ও ভেতরে হ্যান্ড স্যানিটাইজার মজুত থাকবে যাতে তা পরীক্ষার্থীরা ব্যবহার করতে পারেন। পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড হাতে হাতে পরীক্ষা করার পরিবর্তে বারকোড দেওয়া হয়েছে। ফলে দ্রুত তা পরীক্ষা হয়ে যাবে। পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকলে তাদের থ্রিপ্লাই মাস্ক দেওয়া হবে। নিজেদের মাস্ক ব্যবহার করতে পারবেন না।