এনসিটিসি গঠনের প্রক্রিয়া স্থগিত রাখল কেন্দ্র
শেষ পর্যন্ত ১০টি অ-কংগ্রেসি রাজ্য সরকার এবং শরিক দলগুলির প্রবল আপত্তিতে প্রাস্তাবিত `জাতীয় সন্ত্রাস দমন কেন্দ্র` চালু করার সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত রাখল কেন্দ্র। গত ৩ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এনসিটিসি চালু করার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। ১ মার্চ থেকে এনসিটিসি চালুর কথা বলা হয়েছিল ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
শেষ পর্যন্ত ১০টি অ-কংগ্রেসি রাজ্য সরকার এবং শরিক দলগুলির প্রবল আপত্তিতে প্রাস্তাবিত `জাতীয় সন্ত্রাস দমন কেন্দ্র` চালু করার সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত রাখল কেন্দ্র। গত ৩ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এনসিটিসি চালু করার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। ১ মার্চ থেকে এনসিটিসি চালুর কথা বলা হয়েছিল ওই বিজ্ঞপ্তিতে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, এনসিটিসি-র শীর্ষপদে এক জন ডিরেক্টর ও তিন জন জয়েন্ট-ডিরেক্টর নিয়োগের সরকারি প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছিল। আপাতত সেই প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নর্থ ব্লক। রাজ্যগুলির সঙ্গে ঐকমত্য তৈরির চেষ্টায় ১০ মার্চ মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও পুলিসের ডিজি`দের বৈঠক ডাকছেন স্বরাষ্ট্রসচিব। রাজ্যের নিজস্ব সন্ত্রাসদমন বাহিনীর প্রধানদেরও বৈঠকে ডাকা হবে। কারণ, এনসিটিসি-র স্থায়ী পরিষদে তাঁরাও সদস্য হিসেবে থাকবেন।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলির সঙ্গে ঐকমত্য তৈরির চেষ্টায় আগামী ১০ মার্চ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও পুলিশের ডিজিদের বৈঠক ডাকছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব রাজকুমার সিং। রাজ্যের নিজস্ব সন্ত্রাসদমন বাহিনীর প্রধানদেরও বৈঠকে ডাকা হচ্ছে। এনসিটিসি-র স্থায়ী পরিষদে তাঁরাও সদস্য হিসেবে থাকবেন। সেখানে কেন্দ্রের অবস্থান ব্যাখ্যা করা হবে। ইতিমধ্যেই পি চিদম্বরম জানিয়েছেন, এনসিটিসি নিয়ে রাজ্যগুলির আশঙ্কার কারণ নেই। প্রকৃতপক্ষে আইবি`র নিয়ন্ত্রণেই কাজ করবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই আশ্বাসে এখনও চিঁড়ে ভেজার ইঙ্গিত মেলেনি।
বস্তুত, ইউএপিএ আইনের ৪৩-এ ধারা অনুযাযী রাজ্য পুলিসকে এড়িয়ে গ্রেফতার বা তল্লাশি চালানোর ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে এনসিটিসি-কে। আর এতেই আপত্তি অ-কংগ্রেসি রাজ্যগুলির। চিদম্বরমের সাফাই, ৪৩-বি ধারা অনুযায়ী আটক ব্যক্তিদের স্থানীয় থানার হাতেই তুলে দিতে হবে এনসিটিসি-কে। এ ক্ষেত্রে রাজ্যগুলির দাবি, সংশ্লিষ্ট রাজ্যের পুলিশকে সঙ্গে নিয়েই তল্লাশি অভিযান সংঘঠিত করা বা গ্রেফতার করতে হবে এনসিটিসি টিম`কে। কিন্তু রাজ্য প্রশাসনের `অধিকার রক্ষার` জন্য এই অনাবশ্যক বিলম্ব অনেক ক্ষেত্রেই নাশকতা মোকাবিলার উদ্যোগে জল ঢালবে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকরা।