সাধারণ ধর্মঘটের প্রভাব পড়ল দেশজুড়ে
এগারোটি শ্রমিক সংগঠনের ডাকে দেশজোড়া ধর্মঘটের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে ব্যাঙ্কিং ও বিমা পরিষেবা এবং পরিবহণ ব্যবস্থায়। রেলকর্মীদের পাশাপাশি এদিনের ধর্মঘটে যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রায় ৮ লক্ষ সরকারি কর্মী।
এগারোটি শ্রমিক সংগঠনের ডাকে দেশজোড়া ধর্মঘটের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে ব্যাঙ্কিং ও বিমা পরিষেবা এবং পরিবহণ ব্যবস্থায়। রেলকর্মীদের পাশাপাশি এদিনের ধর্মঘটে যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রায় ৮ লক্ষ সরকারি কর্মী। কলকাতা ছাড়াও দিল্লি, মুম্বইয়ের মতো মেট্রোগুলিতে ব্যাঙ্কিং, পরিবহণও অন্যান্য পরিষেবা প্রভাবিত। সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রমনীতি, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণ, মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বন্ধ, নূন্যতম মজুরি আইনের পরিবর্তন, সমস্ত শ্রমিকের অবসরকালীন সামাজিক সুরক্ষা, সব সংস্থায় শ্রমিক সংগঠনের বাধ্যতামূলক নথিভুক্তি-সহ একগুচ্ছ দাবিতে ডান-বাম শ্রমিক সংগঠনগুলির ধর্মঘটে স্বাভাবিক জনজীবন প্রায় থমকে গেছে।
সকাল থেকেই কেরালার রাস্তাঘাট শুনশান। রাজধানী তিরুবনন্তপুরমের রাস্তায় বাস-অটো প্রায় চলছে না। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর মতো 'সার্ভিস ব্রেক'-এর হুমকি না দিলেও উমেন চান্ডি সরকার ফতোয়া জারি করে বলেছে, ধর্মঘটে যোগ দিলে সরকারি কর্মীদের বেতন কাটা যাবে। এবং অ্যাড-হক ও অস্থায়ী কর্মীদের চুক্তি বাতিল হবে। দক্ষিণের অন্য দুই রাজ্য তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশেও যথেষ্ট প্রভাব পড়েছে ধর্মঘটের।
দিল্লিতে বিদ্যুত্ পরিষেবা অব্যাহত রাখতে জরুরি পরিষেবা রক্ষণাবেক্ষণ আইন বা এসমা জারি করেছে শীলা দীক্ষিত প্রশাসন। অসম, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, তামিলনাডু এবং বিহারের মতো রাজ্যগুলিতেও ১১টি শ্রমিক সংগঠনের ধর্মঘটের জেরে ব্যাঙ্কিং, টেলিফোন, বিমা ও পরিবহণ-সহ গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাগুলি প্রভাবিত হয়েছে যথেষ্টই।